চুয়াডাঙ্গায় হাড়কাঁপানো শীতের সকালে বৃষ্টি
প্রকাশিত : ১৫:২৯, ১৮ জানুয়ারি ২০২৪
চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। হাড়কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন। এর মাঝেই আজ সকালে থেকে টানা আড়াই ঘণ্টা ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। যা দিনব্যাপী গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাতে রূপ নেবে বলেও আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
জেলায় আজ বৃহস্পতিবার ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। কেটে গেছে শৈত্যপ্রবাহ।
আজ ভোর ৫টা থেকেই মেঘের গর্জন শোনা যায়। উষ্ণতার চাদর মুড়িয়ে মানুষ যখন ঘুমে মগ্ন, ঠিক ভোর পৌনে ছয়টায় শুরু হয় বৃষ্টি। যা পরে ভারি বৃষ্টিতে রূপ নেয়। বৃষ্টি চলে প্রায় আড়াই ঘণ্টাব্যাপী।
উত্তর থেকে ধেয়ে আসা কনকনে ঠাণ্ডা বাতাসে শীতজনিত রোগবালাই বেড়েই চলেছে। জেলার সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছাড়াও বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে রোটাভাইরাস ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, অ্যাজমাসহ শ্বাসকষ্টের রোগ নিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য রোগী ভর্তি হচ্ছেন, চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সদর হাসপাতালে ১৩ শয্যার বিপরীতে আজ সকালে ৭৬ শিশুকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাওয়া যায়। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে আরও ৫৮ শিশু ভর্তি আছে।
সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগের পরামর্শক মাহবুবুর রহমান বলেন, শীত মৌসুমে মায়েদের সতর্কভাবে চলাফেরা করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। বাসি খাবার খাওয়া যাবে না। ছয় মাস পর্যন্ত শিশুদের কেবল বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। প্রয়োজনীয় সব টিকা দিতে হবে। হাতে-পায়ে মোজা ও গরম পোশাক পরাতে হবে। ডায়রিয়া ও ঠান্ডাজনিত কোনো সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতাল বা চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক তহমিনা নাছরিন এ্যানি বলেন, আজ সকাল ৬টা ও ৯টায় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ। এছাড়া ভোর ৫টা ৪৫ মিনিট থেকে বৃষ্টি শুরু হয়ে সকাল ৮টা ১০মিনিটে থেমেছে। এই ২ ঘণ্টা ২৫ মিনিটে ১৯.৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস পূর্বাভাসে বৃষ্টির কথা আগেই জানিয়েছিল। আজ দুপুর পর্যন্ত আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। এছাড়া আগামীকাল অর্থাৎ ১৯ জানুয়ারি হালকা বৃষ্টিপাতের প্রবণতা রয়েছে।
এদিকে শীতের কারণে রাস্তাঘাটে মানুষের আনাগোনা এমনিতেই কম, তারওপর বৃষ্টির কারণে জবুথবু অবস্থা সবার। এমন অবস্থায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সব শ্রেণির মানুষের। আর শীতের সকালে নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে যেন দানব হয়েই হানা দিয়েছে এই বৃষ্টি।
আব্দুল মজিদ নামের এক দিনমজুর বলেন, আজ আর কাজ পাইনি। কেউ আসেনি, তাই বাড়ি ফিরতে হলো। এমনিতেই শীত, এর মধ্যে আবার বৃষ্টি। কষ্টের আর শেষ নেই।
এএইচ
আরও পড়ুন