চোখে ঝাপসা দেখলে মোটেই অবহেলা নয়
প্রকাশিত : ২২:১৯, ১৬ মে ২০১৮ | আপডেট: ১৪:০৫, ১৭ মে ২০১৮
চোখে ঝাপসা দেখা শুরু করলে দ্রুত চোখ পরীক্ষা করানো উচিত। কারণ এগুলো হতে পারে রেটিনা অর্থাৎ অক্ষিপটের অসুখের লক্ষণ। সাধারণত প্রাথমিক অবস্থায় এই ধরনের সমস্যাকে অনেকে গুরুত্ব দেয় না। রেটিনা বা অক্ষিপটে এই ধরনের সমস্যার কারণে কোনো ব্যথা থাকে না। তবে এ রকম সমস্যা দেখা দেয় সাধারণত একটি চোখে। ফলে দুর্বল চোখটির কারণে অন্য চোখটিরও ক্ষতি হতে থাকে।
এই সম্পর্কে ‘অল ইন্ডিয়া অফথালমোলজিকাল সোসাইটি (এআইওএস)’য়ের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন চোখে রেটিনার বিভিন্ন অসুখের মধ্যে বয়স-সম্পর্কিত ‘ম্যাকুলার ডিজেনারেইশন (এএমডি)’ এবং ‘ডায়াবেটিক ম্যাকুলার এডিমা (ডিএমই)’ অন্যতম। যার ফলে বিশ্বে ৮.৭ শতাংশ ও ৪.৮ শতাংশ মানুষ অন্ধত্বে ভোগেন।
‘অল ইন্ডিয়া কলিজিয়াম অফ অফথালমোলজি’র ফেলোশিপ প্রোগ্রামের সভাপতি রাজভর্ধন আজাদ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ‘এএমডি’ অক্ষিপটের রোগের প্রচলিত লক্ষণ। যার ফলে ঝাপসা বা বিকৃতভাবে দেখা, দৃষ্টির মধ্যে কালো বিন্দু দেখা বা সরল রেখাকে ঢেউ খেলানো দেখতে পারে।’
নয়া দিল্লির ‘ভারতি আই হসপিটালয়ের এই চক্ষুবিশেষজ্ঞ আরও বলেন, ‘এই রোগ প্রায় সময় পরীক্ষার আড়ালে থেকে যায়। কারণ যতক্ষণ না দৃষ্টিশক্তি হারাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত রোগী বুঝতে পারেন না তাঁর দেখতে সমস্যা হচ্ছে। তাই এ ধরনের লক্ষণগুলোর বিষয়ে জানা থাকা জরুরি। প্রাথমিক অবস্থায় পরীক্ষার পর বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিলে দৃষ্টিশক্তি হারানো প্রতিরোধে সাহায্য করা যায়।’
‘এএমডি’ এবং ‘ডিএমই’ দৃষ্টিশক্তি হারানো প্রতিরোধ করতে না পারার সম্ভাবনা বাড়ায়। আর যারা সম্পূর্ণ দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে তাদের পুরোপুরি চিকিৎসা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
লেজার ফটোকোয়াগুলেশন, অ্যান্টি-ভিইজিএফ (ভাস্কুলার এন্ডোথেলিয়াল গ্রোথ ফ্যাক্টর) ইঞ্জেকশন এবং দু’য়ের সমন্বয়ে চিকিৎসা পদ্ধতি এই ধরনের রোগ সারাতে ব্যবহার হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের বেশি মাত্রায় সতর্ক থাকতে হবে কারণ তাদের মধ্যে ‘ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি’ বা বহুমূত্র-জনিত অক্ষিপট ক্ষয় রোগ হওয়ার ঝুঁকি থাকে।’
কেআই/এসি