চৌহালীতে স্ত্রীসহ ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
প্রকাশিত : ১৫:৫৪, ৪ মার্চ ২০২৪
সিরাজগঞ্জে চৌহালীতে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার (৩ মার্চ) দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক ফেরদৌস রায়হান বকসী এ মামলাটি দায়ের করেন। আসামি সেলিম রেজা (৪৫) চৌহালী উপজেলার উমারপুর ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা ও তার স্ত্রী আফরোজা বেগম (৪২)।
সেলিম রেজা জেলার বেলকুচি উপজেলার চর জোকনালা গ্রামের জহির উদ্দিনের ছেলে। বর্তমানে তিনি সিরাজগঞ্জ পৌরসভার মাছুমপুর মহল্লার বাসিন্দা।
দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০২২ সালে সেলিম রেজার বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতি করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠে। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
মামলার নথিতে জানা যায়, সেলিম রেজা তার সম্পদ বিবরণীতে স্থাবর সম্পদ ও অস্থাবর ৫৩ লাখ ৪৭ হাজার ৯২৪ টাকা মূল্যের সম্পদ গোপন করেন। যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬ (২) ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ ছাড়া তিনি ৪৫ লাখ ৭২ হাজার ৪৫০ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দখলে রেখেছেন। যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
অপরদিকে, তার স্ত্রী আফরোজা বেগম (৪২) তার বিবরণীতে স্থাবর সম্পদ ও অস্থাবর সম্পদ মিলিয়ে ৩৫ লাখ ১১ হাজার ৫৫৫ টাকা মূল্যের সম্পদ গোপন ও ৫৬ লাখ ২৬ হাজার ৫৫৫ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং দখলে রেখেছেন।
এ পরিস্থিতিতে দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক ফেরদৌস রায়হান বকসী বাদী হয়ে ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা সেলিম রেজা ও তার স্ত্রী আফরোজা বেগমের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী ফেরদৌস রায়হান বকসী বলেন, সেলিম রেজা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে চৌহালী উপজেলার উমারপুর ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, আমার সব সম্পদ আয়কর বিবরণীতে উল্লেখ আছে। সঠিকভাবেই জমা দিয়েছি দুদক অফিসে। সম্পদের কোন কিছু গোপন করা হয়নি।
এএইচ
আরও পড়ুন