ছাগলকে ঢিল ছোঁড়ায় ১০ জনকে কুপিয়ে জখম
প্রকাশিত : ১৫:৩৪, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১৫:৩৬, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ফসল খাওয়ার সময় ছাগলকে ঢিল ছুঁড়ে তাড়িয়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে জমির মালিকের উপর চড়াও হয় ছাগল মালিক। এক পর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের ঢাকা পঙ্গু হাসাপাতাল ও সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের লক্ষিবরদী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন স্বজনরা। এঘটনায় সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
পুলিশ জানায়, রোববার বিকেলে গ্রামের আমিন উদ্দিনের জমিতে লাগানো কালাই খাচ্ছিল পার্শ্ববর্তী ইদ্রিস আলীর একটি ছাগল।এ সময় আমিন উদ্দিনের স্ত্রী রোকসানা একটি ঢিল ছুঁড়ে ছাগলটিকে তাড়িয়ে দেন। এ নিয়ে ইদ্রিস আলী ও রোকসানার মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। পরে ইদ্রিস আলী রোকসানা ও তার প্রতিবন্ধী দুই মেয়েকে পিটিয়ে আহত করেন।
স্থানীয়রা জানান, এ ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউসুফ দেওয়ান সকালে ওই বাড়িতে গিয়ে রোকসানাকে চিকিৎসার অর্থ দেন ও ইদ্রিস আলীকে এ ঘটনায় বাড়াবাড়ি না করার অনুরোধ করেন। কিন্তু চেয়ারম্যান চলে আসার পর বেলা ১১ টার দিকে ইদ্রিস আলীর নেতৃত্বে রুহুল আমিন, আবুল হোসেন, সেলিম মিয়া, ইমরান, রুবিয়াসহ ১২-১৫জনের একটি দল রাম দা, টেঁটা, বল্লম ও লোহার রড নিয়ে আবারও রোকসানার বাড়িতে হামলা চালান।
পরে চেয়ারম্যানের নির্দেশে স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম ইদ্রিস আলীকে শাসন করতে যান। এ সময় ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম, পনির হোসেন, নয়ন, নিরব ও জুয়েলসহ ১০জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করা হয়। তাদের ঢাকা পঙ্গু হাসাপাতাল ও সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে পনির ভূইয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় পুলিশ ইদ্রিস আলীকে আটক করেছে।
নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউসুফ দেওয়ান জানান, রোকসানা খুবই অসহায় একজন নারী। তার পরিবার খুবই দরিদ্র। তার পরিবারে দুজন প্রতিবন্ধী রয়েছে। বিভিন্ন সময় আমি তাদের খোঁজখবর নেই। তাদের ওপর হামলার খবর পেয়ে আমি সকালে গিয়ে চিকিৎসার জন্য অর্থ সহযোগিতা দিয়ে এ পরিবাররের উপর জুলুম না করার অনুরোধ করে আসার পর ইদ্রিস আলী আবারও হামলা করেন।
নোয়াগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাতেন জানান, ইদ্রিস আলীর পরিবার এলাকায় খুবই খারাপ প্রকৃতির বলে পরিচিত। কারণে-অকারণে মানুষকে তারা নির্যাতন করেন। তবে পুলিশের হাতে আটক ইদ্রিস আলী বলেন, আমাকে রোকসানা মারধর করেছে। এ বিষয়টি আমার ছেলেরা মেনে নিতে পারেনি।
সোনারগাঁ থানার ওসি মোরশেদ আলম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। একজনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
টিআর/
আরও পড়ুন