কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা
ছাত্রলীগের ওপর দায় চাপানো ঠিক হবে না: হাছান মাহমুদ
প্রকাশিত : ১৩:২৩, ৫ জুলাই ২০১৮ | আপডেট: ১৪:৫১, ৫ জুলাই ২০১৮
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার দায় ছাত্রলীগকে দেওয়া ঠিক হবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, কোটা বাতিলের পক্ষে যেমন সমর্থন আছে তেমনি কোটা বহাল রাখার পক্ষেও মত আছে। যারা বহালের পক্ষে তাদের সঙ্গে কিছু সংঘর্ষ হতে পারে। এটার দায় ছাত্রলীগের নয়।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ কমিটির বিশেষ বর্ধিত সভায় এসব কথা বলেন হাছান মাহমুদ। আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ের নতুন ভবনে এই সভা হয়।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার আড়াই মাস পরও কোটার প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় গত শনিবার নতুন কর্মসূচি ঘোষণার লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের ডাক দেয় কোটা আন্দোলনকারীদের প্লাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রার্থীরা জড়ো হলে তাদের ওপর নৃশংস হামলা চালানো হয়। পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক নুরুল হক নূরসহ বেশ কয়েকজনকে বেধরক মারধর করা হয়। এর প্রতিবাদের গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে শিক্ষাবিদদের লাঞ্চিত করে আইনশৃংখলা বাহিনী।
এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, যাদের সঙ্গে সংঘর্ষ হচ্ছে তাদের মধ্যে ছাত্রলীগের সমর্থক থাকতে পারে। তবে ছাত্রলীগ সাংগঠনিকভাবে এই কাজে জড়িত নয়।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার পর সাড়ে চার দশক ধরে কোটা ব্যবস্থা প্রচলিত। রাতারাতি এর সংস্কার সম্ভব নয়। ইতোমধ্যে কেবিনেট সেক্রেটারির নেতৃত্বে একটি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই পর্যায়ে এসে শুধুমাত্র কোটার জন্য আন্দোলন করা প্রমাণ করে এটি কোটার জন্য আন্দোলন নয়। এর মধ্যে রাজনৈতিক সংশ্লেষ রয়েছে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত হওয়া অভিভাবক ও নাগরিক সমাবেশকে ইঙ্গিত করে হাছান মাহমুদ বলেন, যখন বাংলাদেশে পেট্রলবোমা মেরে শত শত জীবন্ত মানুষ পোড়ানো হয়েছিল তারা তখন কোথায় ছিলেন? এখন হঠাৎ করে তারা কোটা আন্দোলনকারীদের পক্ষে কথা বলছেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, যারা কোটা বিরোধী আন্দোলন করছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের বক্তব্য আমি শুনেছি, দেখেছি। এমন অশোভন বক্তব্য কখনো বিএনপিও দেয়নি। তাই এটি নিছক কোটা আন্দোলন নয়। এটা নিয়ে রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়ানোর প্রচেষ্টা আছে।
উল্লেখ্য, আগামী নির্বাচন সামনে রেখে প্রচার উপ কমিটির করণীয় নির্ধারণ করতে আজকের এই বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রচার উপ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আ আ / এআর
আরও পড়ুন