ছাত্রলীগের সংঘর্ষের জেরে দুর্ভোগে চবি শিক্ষার্থীরা
প্রকাশিত : ১১:৪৩, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের পর হলে তল্লাশি চালিয়ে কয়েকজন নেতাকে গ্রেফতারের ঘটনায় শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে ছাত্রলীগের একটি পক্ষ। শুধু তাই নয়, কোন শিক্ষক বাসকেও ক্যাম্পাসে আসতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ ওঠেছে। তবে শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকলেও নির্ধারিত সময়ে ক্লাস ও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।
ষোলশহর স্টেশনের মাস্টার মো. শাহাবউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, মঙ্গলবার সকালে বটতলী স্টেশন (পুরাতন চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন) থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গামী কোনো ট্রেন ছেড়ে আসতে পারেনি। শহর থেকে ছেড়ে আসা তিনটি ট্রেনের একটিও এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদল্যালয়ের উদ্দেশে ছেড়ে যায়নি। ট্রেনের হুইস পাপ কেটে দেওয়াসহ বাস চালকদের কাছ থেকে চাবি কেড়ে নেওয়ার ঘটনায় ইতোমধ্যে বেশ সমালোচিত আন্দোলনকারীরা।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী চলছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী। জানা গেছে, গত সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ জালাল ও শাহ আমনত হলে অবস্থান নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের কর্মীরা সংঘর্ষে জড়ায়। এতে অন্তত ছয় ছাত্রলীগ কর্মী আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
ছাত্রলীগের ওই দুই পক্ষের মধ্যে একটি গ্র্রুপ প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সিটি মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী। অন্য পক্ষটি নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। এদিকে সংঘর্ষের পরই রাতে শাহজালাল ও শাহ আমানত হলে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় কয়েকজনকে আটক করা হয়।
প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তায় চালানো ওই অভিযানে শাহজালাল হলের পেছনে পাহাড় থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় দুটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া দুই হলে বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র পাওয়া গেছে।
এমজে/
আরও পড়ুন