ছায়ানটের আয়োজনে লোকসংগীত উৎসব
প্রকাশিত : ১০:৪১, ২৭ জানুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ১০:৪২, ২৭ জানুয়ারি ২০১৮
বাউল, মারফতি আর মুর্শিদি- এ যেনো নাগরিক জীবনের মেঠো সুর। এই সুরের আবেদন তুলে ধরতে লোকসংগীত উৎসব আয়োজন করে সাংস্কৃতিক ছায়ানট।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ছায়ানট মিলনায়তনে পরিবেশন করা হয় কালা শাহ ফকির, বিজয় সরকার, খালেক দেওয়ান, কুটি মনসুর ও নুরুল ইসলাম জাহিদের গান। এবারের উৎসব উৎসর্গ করা হয়েছে কালা শাহ ফকিরকে।
সন্ধ্যায় আসর শুরু হয় কালা শাহ ফকিরের ‘আমার মুর্শিদ পারশমণি গো’ গানের মধ্য দিয়ে। এ সময় ছায়ানটের লোকসঙ্গীত বিভাগের শিক্ষার্থীরা সমবেত কণ্ঠে গানটি পরিবেশন করেন।
আয়োজনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ছায়ানটের সহ-সভাপতি মফিদুল হক। তিনি বলেন, ‘লোক গান আমাদের সম্পদ। এ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ছায়ানট লোকগানকে মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চায়। সে প্রেক্ষিতেই প্রতি বছর পাঁচজন শিল্পীকে বেছে নিয়ে তাদের গানগুলো সকলের সামনে হাজির করা হয়। এসব লোকগানের তাৎপর্য অসাধারণ, গানগুলো পরম্পরাকে ধারণ করার সময় এসেছে।’
প্রথমেই ছিল বিজয় সরকারের ভাটিয়ালি গানের পরিবেশনা। বিজয় সরকারের গান পরিবেশন করেন দেবাহুতি মজুমদার, মোন্তাজউর রহমান মানিক, সরদার মো. রহমাতুল্লা।
বাউল সাধক খালেক দেওয়ানের ‘মা লো মা ঝি লো ঝি’ গানটি সম্মেলক কণ্ঠে পরিবেশনের পরে তার আরও কয়েকটি গান শোনান সেতু খন্দকার, উজ্জ্বল দেওয়ান, আব্দুস সালাম, আবুল কালাম আজাদ।
কুটি মনসুরের গান শোনান স্বপ্না রায়, নাজমুল আহসান তুহিন, নীরব মজুমদার, মুকুল মজুমদার।
সবশেষে ছিল নুরুল ইসলাম জাহিদের গান। সম্মেলক কণ্ঠে ‘কয়সের আলোচাউল পাড়িয়া’ পরিবেশনার পরে তার গান গেয়ে শোনান মহিতোষ কুমার, সাদিকা নূর মুমু ও এরফান হোসেন।
ছায়ানটের রীতি অনুযায়ী, সম্মেলক কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় মাটির গানের এ আয়োজন।
এসএ/