ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪

ছেলে জিপিএ ৪.০৬ মা ৪.২৩

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:০৪, ৭ মে ২০১৮ | আপডেট: ১৭:২৯, ৭ মে ২০১৮

পড়াশোনার কোনো বয়স নেই অনেকেই বলে থাকেন। এবার তার প্রমাণ রাখলেন নাটোরের এক মা। বিয়ে হয়েছে অনেক বছর হলো। স্বামী সংসার নিয়ে ভালোই দিন যাচ্ছিল। মনে ছিল এসএসসি পাশ করবেন। তাই ছেলের সঙ্গে পরীক্ষায় বসলেন। ছেলের চেয়ে ভালো ফল করেছেন এবারের পরীক্ষায়। নাটোরের গুরুদাসপুরে মা ও ছেলে দুজনেই পাস করেছেন। মা তাহমিনা বিনতে হক ছেলে তাওহীদুল ইসলামের চেয়ে ভালো ফল করেছেন। তাহমিনা বিনতে হক পেয়েছেন জিপিএ ৪.২৩, অপরদিকে তাওহীদুল ইসলাম পেয়েছেন জিপিএ ৪.০৬।

মা তাহমিনা বিনতে হক বড়াইগ্রামের জোনাইল আইটি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। ছেলে তাওহীদুল ইসলাম জোনাইল এলাকার দ্বারিকুশি প্রতাপপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে পরীক্ষায় অংশ নেয়।

একসঙ্গে পাস করায় মা-ছেলেসহ পরিবারের সদস্যরা আনন্দ উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার আনন্দনগর গ্রামের আলমগীর হোসেন রঞ্জুর স্ত্রী তাহমিনা বিনতে হক। এক ছেলে ও এক মেয়ে তাদের। তাহমিনা বিনতে হক পেশায় একজন গৃহিনী। সংসার সামলানোর পাশাপাশি হাঁস মুরগী ও গাভী পালতেন তিনি।

বয়সকে উপেক্ষা করে ৩৫ বছর বয়সে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া তাহমিনা বিনতে হক বলেন, ছেলে তাওহীদুল ইসলামকে লেখাপড়া করাতে গিয়ে আমি নিজেও স্কুলে ভর্তি হই। আমরা মা-ছেলে প্রতিদিন গড়ে ৪ ঘণ্টা লেখাপড়া করতাম। তাওহীদুল আরও বেশি ভালো ফল করলে ভালো লাগতো। তবে মা ও ছেলে দু’জনই পাস করায় ভালো লাগছে। আগামীতে ছেলে আরও ভালো ফল করবে এমন প্রত্যাশা করি।

মা ও ছেলের এসএসসি পাসের খবরে আনন্দনগর গ্রামে চলছে আনন্দের বন্যা। মা-ছেলেকে দেখতে ও অভিনন্দন জানাতে অনেকেই ছুটে যাচ্ছেন তাদের বাড়িতে।

এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি