ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪

জঙ্গি দমনের মতো মাদকও নিয়ন্ত্রণ হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:০৮, ১২ জানুয়ারি ২০২০ | আপডেট: ১৬:৪৬, ১২ জানুয়ারি ২০২০

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘আমরা জঙ্গি সন্ত্রাস যেভাবে দমন করতে পেরেছি, মাদকও সেভাবে নিয়ন্ত্রণ করবো।’

আজ রোববার দুপুর ১২টায় সেগুনবাগিচায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ এর সদর দপ্তরে ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মাদক সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। আমাদের যুব সমাজ এই মাদকে শেষ হয়ে যাচ্ছে। যদি এটিকে নিয়ন্ত্রণ করা না যায়, আমাদের পুরো সমাজ শেষ হয়ে যাবে। তাই আমরা স্কুল কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাদকের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘মাদক বন্ধের জন্য পুলিশ-বিজিবি নৌবাহিনী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রত্যেকটি সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে। মাদকের যারা সাম্রাট হবে তারা কেউ রেহাই পাবে না। অনেককেই গ্রেফতার করে জেলে প্রেরণ করা হয়েছে। যারা এখনও পলাতক তাদের খুব শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছি। ২০০৮ সালের আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় আসার পূর্বে  ঘোষণা করেছিলেন নির্বাচিত হলে মাদককে নির্মূল করবেন। সেই ঘোষণার আলোকে মাদকের ভয়াবহ বিস্তার রোধ করার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা মাদকের ডিমান্ড হ্রাস করার জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘টিভিসি নির্মিত হয়েছে। সামনে আরো অনেক কিছু হবে। মাদক নিয়ে যারা কাজ করছে তারা যত বড় শক্তিশালী হোক কেউ রেহাই পাবে না।’

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শুধুমাত্র মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেননি পাশাপাশি তিনি সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন। যারা মাদক বিক্রি করে অন্যায়ভাবে টাকা উপার্জন করে তারা সেটি অন্যায়ভাবেই (ক্যাসিনোতে) ব্যয় করে। তবে কাউকেই ছাড় দিচ্ছি না আমরা, ছাড় দেয়া হবেও না।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জামাল উদ্দিন আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মোঃ শহীদুজ্জামান, রিপাবলিক অব কোরিয়ার নারকোটিকস ডিভিশন এর ডিরেক্টর উন জাই প্রমুখ।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে মাদক সংক্রান্ত অপরাধ কমিয়ে সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশ নির্মাণ, সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে মাদকের বিস্তার রোধ ও মাদকের বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি করার লক্ষ্যে দি কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশন এজেন্সি (কয়কা) এর সহায়তায় ৩৭ কোটি ২০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে কারিগরি সহায়তা প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কার্যক্রম অটোমেশনের আওতায় আসবে।

এসি/

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি