জনবিচ্ছিন্ন নেতা দরকার নেই: সেতুমন্ত্রী
প্রকাশিত : ১৯:৫৫, ১৫ জানুয়ারি ২০১৮
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জনবিচ্ছিন্ন কোন নেতা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দরকার নেই। তিনি বলেন, যে নেতা পুলিশের কনস্টেবলের চাকরির ভাগাভাগিতে টাকার বিনিময়ে অংশ নেয়, গরিব মানুষ থেকে টাকা আদায় করে, সেই নেতা আওয়ামী লীগের প্রয়োজন নেই।
সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের লালদীঘি ময়দানে আয়োজিত এক শোকসভায় তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্মরণে এ সভার আয়োজন করে চট্টগ্রাম নগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ।
নেতা-কর্মীদের অপকর্ম থেকে বিরত থাকার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, যে নেতা প্রাইমারি স্কুলের নৈশপ্রহরীর চাকরির জন্য গরিব মানুষ থেকে টাকা নেয়, সেই নেতা শেখ হাসিনার দরকার নেই। আচরণ ভালো না হলে শত উন্নয়ন ম্লান হয়ে যাবে। তাই নেতা-কর্মীদের আচরণ ভালো করতে হবে। মানুষের চোখের ভাষা ও মনের ভাষা বুঝে রাজনীতি করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, একজন রাজনীতিকের জীবনে মানুষের ভালোবাসার চেয়ে বড় সম্পদ আর কিছু নেই। মহিউদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুর পর তাঁর জানাজায় লাখো মানুষের উপস্থিতি ঘটেছে। কারণ, তিনি মাটি ও মানুষের রাজনীতি করেছেন। মানুষের মনের ভাষা বুঝেছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কাজ করতে গেলে ভুলত্রুটি হয়। আমাদেরও ভুলত্রুটি আছে। চাঁদেরও কলঙ্ক আছে। কিন্তু তাই বলে চাঁদের ঔজ্জ্বল্য নষ্ট হয় না। আমরা ভুল সংশোধন করি। যারা অপরাধ করেছে, তাদের জেলে পাঠানো হয়েছে। আমাদের এমপি কারাগারে, মন্ত্রীপুত্র কারাগারে। কিন্তু বিএনপির আমলে এসব কল্পনা করা যেত না।
চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, নেতারা নেতা বানায়। কিন্তু আপনারা পকেট কমিটি করবেন না, পকেট ভারী করবেন না। আমি জানি, দুঃসময়ের অনেক কর্মী এখানে আছেন, যারা কোণঠাসা। দুঃসময়ের কর্মীদের কমিটিতে জায়গা থাকলে আওয়ামী লীগ অনেক শক্তিশালী থাকবে। যখন অন্ধকার, দুর্দিন, তখন ছিলেন মহিউদ্দিন। শীতের অতিথি পাখিরা আসে। আবার শীত চলে গেলে পাখিরা চলে যায়। ক্ষমতা যখন থাকবে না, তখন পাঁচ হাজার ওয়াটের বাতি দিয়ে এখানে উপস্থিত অনেককে পাওয়া যাবে না।
চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাবউদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বেলা আড়াইটায় শোকসভা শুরু হয়। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক, প্রয়াত মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী, চট্টগ্রামের বিভিন্ন আসনের সাংসদ এবং তিন সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা। এতে অংশ নেন নগর ও জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে হাজার হাজার মানুষ।
আরকে//
আরও পড়ুন