জন্মদিনে হুমায়ূন আহমেদকে স্মরণ
প্রকাশিত : ১৬:২৯, ১৩ নভেম্বর ২০২৪
নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৭৬তম জন্মবার্ষিকী গাজীপুরের নুহাশপল্লীতে তাঁর পরিবারের স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীরা নানা আয়োজনে লেখককে স্মরণ করলেন। হুমায়ূন আহমেদের লেখালেখি ও স্বপ্ন নিয়ে কথা বললেন লেখকের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন।
আগামী এক দুই বছরের মধ্যে জাদুঘর নির্মাণ কাজ শুরুর প্রত্যাশা জানান তিনি।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে হুয়ায়ুন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, দুই পুত্র নিনিত ও নিষাদের উপস্থিতিতে কবর জিয়ারত করা হয়। এসময় হুমায়ূন আহমেদের শুভানুধ্যায়ী ও ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন।
লেখকের আত্মার শান্তি কামনায় প্রার্থনা করা হয়।
এর আগে রাতে নুহাশপল্লীতে ১০৭৬টি মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়। সমাধিতে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণের পর কাটা হয় কেক।
প্রতিবারের মতো এবারও হুমায়ূন পরিবার, তাঁর ভক্তরা ফুল হাতে শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় করেন নুহাশপল্লীর লিচু তলায়। নন্দিত লেখকের ভক্ত ও পাঠকেরা তাদের প্রিয় লেখকের প্রতি অতল শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার কথা জানান।
কবর জিয়ারত শেষ কাটা হয় কেক।
মেহের আফরোজ শাওন গণমাধ্যমকে হুমায়ূনের স্বপ্ন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, হুমায়ূন আহমেদের সবকিছু সযত্নে রাখা আছে কিন্তু জাদুঘরটি এখনো করতে পারেনি এর আসলে অনেকগুলো কারণ। প্রধান কারণ আর্থিক।
তিনি বলেন, নুহাশপল্লীর আয় দিয়ে এখানকার এবং হুমায়ূন আহমেদের স্কুলের ব্যয় পরিচালনা করা হয়। আমরা এখনও আশা করছি যে আগামী এক দুই বছরের মধ্যে জাদুঘর নির্মাণের কাজ শুরু এবং শেষ করবো।
তিনি আরও বলেন, হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে বিশেষ দিনে আলাদা কোনো ভাবনা হয় না। বরং আমি বলব বিশেষ দিনগুলোর চেয়ে আমি সাধাররণ দিনগুলোতে তাঁকে বেশি করে অনুভব করি। পরিবার ও কর্মসঙ্গিনী হিসেবে আমি প্রতিদিন তাকে একইভাবে অনুভব করি।
বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশকে মূল্যায়ন করতে বললেন লেখকের ছেলে নিষাদ।
হুমায়ূন আহমেদের জন্ম ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জে তাঁর মাতামহের বাড়িতে। তাঁর পৈত্রিক বাড়ি নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রাম।
২০১২ সালে ১৯ জুলাই মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি।
সৃষ্টিশীল কর্মের মাধ্যমে ভক্ত হৃদয়ে চিরকাল বেঁচে থাকবেন হুমায়ূন আহমেদ।
এএইচ