জন্মনিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মেলেনি সফলতা
প্রকাশিত : ১২:১১, ১১ জুন ২০২৪
প্রজননের হার দুই শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মেলেনি সফলতা। দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার পর পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের দাবি, একেবারে কাছাকাছি পৌঁছেও করোনা মহামারিতে থমকে আছে কার্যক্রম। তবে, জনসচেতনতা বেড়েছে।
‘ছেলে হোক মেয়ে হোক, দুটি সন্তানই যথেষ্ট’ ভাঙা রেকর্ড বাজানো হলেও সফলতা কোথায়? তবে শহর বা গ্রাম- সচেতনতা বেড়েছে আশাতীত।
দেশ স্বাধীনের পর গড় প্রজনন হার ছিলো ছয় দশমিক তিন শতাংশ। তখনই পরিকল্পিত উন্নয়নে স্বতন্ত্র পরিবার পরিকল্পনা বিধান করে দেন বঙ্গবন্ধু। আশির দশকে জন্মহার দুই শতাংশে নামানোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক কর্মযজ্ঞ। তবে সুদীর্ঘকালের সরকারি-বেসরকারি কার্যক্রমেও ২০১১ সাল থেকে একযুগেরও বেশি সময় ধরে এ হার স্থির হয়ে আছে ২ দশমিক শতাংশের উপরেই।
২০২৫ সালের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার বাকিটাও অর্জনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে অপ্রতুল সেবাদাতা ও সরকারি-বেসরকারি উন্নয়ন সহযোগীদের সমন্বয়হীনতার পাশাপাশি বাল্যবিবাহ, অপরিপক্ক গর্ভধারণ, অপূর্ণ চাহিদা, অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণও।
জনসংখ্যা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম বলেন, “এডোলেসন মেয়ের মধ্যে ৫০টির বিয়ে হয়ে যায় ১৮ বছরের আগে। তার মধ্যে ২৮ শতাংশ এডোলেসন থাকা অবস্থায় গর্ভধারণ করে।”
এমসিএইচপি চিকিৎসক ডা. ইকবাল কবির বলেন, “টিনেজ গ্রেগন্যান্সি ৭ শতাংশ বেড়েছে নগরে। কাজেই এটি চিন্তার বিষয়।”
সর্বশেষ স্যাম্পল ভাইটাল রেজিস্ট্রেশন সার্ভে বলছে, ৬২ দশমিক ১ শতাংশ দম্পতি এখন জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি স্বাচ্ছন্দ্যেই নেয়। প্রাকৃতিক ও সনাতন নিয়ন্ত্রণ চর্চা করে নয় শতাংশ। বাকি ৩০ শতাংশই এখনও দোটানায়।
খাবার বড়ি, ইনজেকশান, ইমপ্ল্যান্স ও কনডমের মতো জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী বিনামূল্যে বিতরণ ও সচেতনতা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে পরিবার-পরিকল্পনা অধিদপ্তর। এরপরও ৬০ শতাংশ মানুষকেই সেগুলো কিনতে হয় উচ্চমূল্যে।
প্রজনন হার কমানোর বিষয়ে সচেতন সবাই। কিন্তু পথের বাধাগুলো না সরায় অর্জিত হচ্ছে না লক্ষ্যমাত্রা।
এএইচ