জাগৃকের অফিস সহকারীর অঢেল সম্পদ (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৫:২৮, ১৪ ডিসেম্বর ২০২০
জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ (জাগৃক) এর এক অফিস সহকারীর শত কোটি টাকার সম্পদ। তার বিরুদ্ধে দুদকে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তবে তিনবছরেও তদন্ত শেষ করতে পারেনি দুদক। বার বার বদল করা হয়েছে তদন্ত কর্মকর্তা। কর্তৃপক্ষ বলছে, তদন্ত চলছে তার বিরুদ্ধে। শিঘ্রই বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের অফিস সহকারী মোস্তফা কামাল শাহীন। প্রায় দেড় দশক ধরে কাজ করছেন এই প্রতিষ্ঠানে।
অভিযোগ আছে, নামে-বেনামে তার রয়েছে শত-কোটি টাকার সম্পত্তি। সরকারী প্লট, ফ্ল্যাট পাইয়ে দেয়ার নামে টাকা নিয়েছেন তিনি। রাজধানীর রুপনগর থানায় তার নামে সাধারণ ডাইরিও করেছেন ভুক্তভোগীরা। তার নামে দুদকে আসে একাধিক অভিযোগ। এক ভুক্তভোগী জানান, শাহিন প্রতারণা করেছে অনেক মানুষের সঙ্গে।
ডা: হোসনে আরা ইসলাম বলেন, জামাল মাস্টার ও মোস্তফা কামাল শাহীন দুই জনে মিলে প্লট দেয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছে। এক মাসের মধ্যে প্লট দিবে বলে আমাকে ছয় বছর পর্যন্ত ঘুরাচ্ছে। টাকা তো দেয়নি উল্টা তারা আমার সাথে খারাপ আচরণ করে।
এদিকে, অভিযোগ পাওয়ার পর দুদক মোস্তফা কামাল শাহীনকে জানায় তিনি অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। এক চিঠিতে দুদক তার সম্পদ বিবরণী জমা দেয়ার জন্যে বলে।
অভিযোগ নিয়ে কথা বলতে গেলে অফিসে পাওয়া যায়নি মোস্তফা কামাল শাহীনকে। ফোনে সংক্ষেপে কথা বলেন তিনি।
ফোনো মোস্তফা কামাল শাহিন বলেন, আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা।
জাগৃকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, অপরাধ করে কারো পার পাওয়ার সুযোগ নেই।
জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) শাহজাহান আলী বলেন, কারো কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে, আমরা সে বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছি। আমরা মনে করি, সে যে স্তরেরই হোক না কেন অপরাধ করে কেউ পার পাবে না, আমরা কোন ছাড় দেব না।
দুদকে প্রায় তিন বছর ঝুলে আছে অভিযোগের তদন্ত। বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নেবেন বলে জানান দুদক চেয়ারম্যান।
ফোনে দুর্নীতি দমন কমিশন চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, আমি অফিসিয়াললি জানিয়ে দিয়েছি যে, তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ পেন্ডিং আছে কি না। কিন্তু তিন বছর ধরে কোন কিছু পেন্ডিং থাকার কথা নয়।
অফিস সহকারী হলেও অফিসে তার দাপট ব্যাপক বলে জানান সহকর্মীরা।
ভিডিও :
এএইচ/এসএ/