জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা পদক পেলেন নৌবাহিনীর ২০০ সদস্য
প্রকাশিত : ২০:৫৭, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | আপডেট: ২১:১৪, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
দক্ষিণ সুদানের জুবাতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশ নৌবাহিনী ফোর্স মেরিন ইউনিটের (ব্যানএফএমইউ-৯) ২০০ জন সদস্য জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা পদকে ভূষিত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দক্ষিণ সুদানের জুবাতে ব্যানএফএমইউ-৯ কন্টিনজেন্টের মেডেল প্যারেড অনুষ্ঠান শেষে ফটোসেশন।
এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জুবাতে ব্যানএফএমইউ-৯ কন্টিনজেন্টের মেডেল প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, অনুষ্ঠানে ইউনাইটেড নেশনস মিশন ইন সাউথ সুদানের (আনমিস) ফোর্স কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহান সুব্রামানিয়াম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ও নাবিকসহ ২০০ জন নৌ-সদস্যকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মেডেল দেন।
অনুষ্ঠানে আনমিস ফোর্স হেডকোয়ার্টারের কর্মকর্তারাসহ অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
ফোর্স কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল সুব্রামানিয়াম দক্ষিণ সুদানে শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যদের ভূয়সী প্রশংসা করেন। নীল নদের প্রতিকূল পরিবেশ এবং সংঘাতপূর্ণ এলাকায় অত্যন্ত সাহসিকতা এবং দক্ষতার সঙ্গে অপারেশন পরিচালনার মাধ্যমে জাতিসংঘের জ্বালানি, খাদ্যদ্রব্য এবং অন্য গুরুত্বপূর্ণ পণ্যগুলো পরিবহনে বাংলাদেশ নৌবাহিনী কন্টিনজেন্ট অসামান্য অবদান রাখছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এ ছাড়াও বাংলাদেশ নৌবাহিনী কন্টিনজেন্ট নদীপথে নিয়মিত টহল পরিচালনা, রেকি অপারেশন, উদ্ধার অভিযান, ড্রাইভিং অপারেশন এবং দক্ষিণ সুদানে নিয়োজিত জাতিসংঘের সব সংস্থাকে নদীপথে পরিবহন ও নিরাপত্তা দেওয়ার মতো মহান দায়িত্ব প্রশংসনীয়ভাবে পালন করছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সহায়তা দেয়ার জন্য তিনি বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান এবং ভবিষ্যতে এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রসঙ্গত, গত ২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশ নৌবাহিনী কন্টিনজেন্ট দক্ষিণ সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করে আসছে। দক্ষিণ সুদানে আনমিসের একমাত্র মেরিন ফোর্স হিসেবে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ফোর্স মেরিন ইউনিট নীল নদের বিস্তৃত অঞ্চলে জাতিসংঘের ম্যান্ডেট বাস্তবায়নে নিয়োজিত রয়েছে।
বাংলাদেশ নৌবাহিনী কন্টিনজেন্ট নীল নদের দীর্ঘ ১৩০০ কিলোমিটার লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে ৫০টি লজিস্টিক অপারেশনস (অপারেশন লাইফ লাইন) সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। মোতায়েনের পর থেকেই বাংলাদেশ নৌবাহিনী কন্টিনজেন্ট দক্ষিণ সুদান সরকার এবং জনগণের উন্নয়ন ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় অসামান্য অবদান রেখে আসছে।
এ ছাড়াও উত্তাল ভূমধ্যসাগরে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ বানৌজা সংগ্রাম সগৌরবে দেশের পতাকা উড়িয়ে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক জলসীমায় প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে।
কেআই//
আরও পড়ুন