জাপানে শতবর্ষী মানুষ ৬৮ হাজার
প্রকাশিত : ১১:১৯, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৭:৪৮, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭
শতবর্ষী মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলেছে জাপানে। বর্তমানে দেশটিতে শতবর্ষীর সংখ্যা ৬৭ হাজার ৮২৪ জন। গত এক বছরের ব্যবধানে দেশটিতে শতবর্ষী মানুষের তালিকায় যোগ হয়েছেন ২ হাজার ১৩২ জন। সরকার ধারণা করছে, আগামী মার্চে আরও ৩২ হাজার মানুষ শতবর্ষীর সংখ্যায় যোগ হবে, যা ইতিহাসে সর্বোচ্চ। বিশ্ব বৃদ্ধ দিবস উপলক্ষে এক জরিপে দেশটির স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণ অধিদফতর এসব তথ্য জানিয়েছে।
গত বছরের জরিপে শতবর্ষী মানুষের সংখ্যা ছিল ৬৫ হাজার ৬৯২ জন। বর্তমানে ৮৭.৯ শতাংশ শতবর্ষী হল নারী। যাদের সংখ্যা ৫৯ হাজার ৬২৭ জন। আর পুরুষের সংখ্যা ৮ হাজার ১৯৭ জন। জাপানের সিমানে, কচি, কাগুশিমা, ততোরি, কাগুয়া প্রদেশে অনেকেরই বয়স একশ’ বছরের বেশি।
জরিপে ১৯০০ সালে কাগুশিমা প্রদেশের কিকাই শহরে জন্ম নেওয়া ১১৭ বছর বয়সী নাবি তাজিমাকে সবচেয়ে বেশি বয়সী নারী হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। আর এরপরই রয়েছেন টোকিওর মাসামিসু ইয়োশিদা। যার বয়স ১১৩ বছর। ১৯০৫ সালের জুলাইয়ে জন্ম নেওয়া মাসাজু নোনাকা, যার বর্তমান বয়স ১১২। তাকে জাপানের জ্যেষ্ঠ পুরুষ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
মূলত উন্নত স্বাস্থ্যসেবা ও খাবারের প্রতি সচেতনতায় শতবর্ষী মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে বলে মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের হিসাব মতে, সবচেয়ে বেশি শতবর্ষী নারী-পুরুষ বাস করেন টোকিওতে, যার সংখ্যা ৫ হাজার ৮৩৫ জন। আর ওসাকায় ৩ হাজার ৫৫৫, কানাজাওয়াতে ৩ হাজার ৭৩৭ জন শতবর্ষী মানুষ বাস করেন।
জাপানে ১২ কোটি ৭১ লাখ জনসংখ্যার দেশে শতকরা ২৬.৭ শতাংশ মানুষের বয়স ৬৫ বছরের বেশি, যা গত পাঁচ বছরে ৩.৭ শতাংশ বেড়েছে। মূলত বিয়ের প্রতি অনীহার কারণে জনসংখ্যা বাড়ছে না জাপানে।
//এআর