জাবি ছাত্রীকে অপহরনের চেষ্টা, গণপিটুনীতে আহত ২
প্রকাশিত : ২৩:২১, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের এক ছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে একই বিভাগের এক ছাত্রের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলে গণপিটুনির শিকার হয়ে দুইজন আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগে এ তথ্য জানান ওই ছাত্রী।
অভিযুক্ত ছাত্রের নাম জাহিদুল ইসলাম সজল। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ৪৩ তম ব্যাচ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক ছাত্র।
বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ক্লাসে অনিয়মিত ও পরপর দুইবার অকৃতকার্য হওয়ায় অধ্যাদেশ অনুযায়ী জাহিদুলের ছাত্রত্ব বাতিল হয়ে গিয়েছে। তবে উপাচার্য বরাবর তিনি ছাত্রত্ব বহাল রাখার আবেদন করেছেন।এখনও উপাচার্যের পক্ষ থেকে বিভাগকে কোন নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
জানা যায়, অভিযোগকারী তার পরিবারের সাথে ইসলাম নগরে একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বাসা থেকে রিকশা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে যাচ্ছিলেন। আল বেরুনী হলের কাছাকাছি এলে ওই ছাত্রীকে রিকশা থেকে নামতে বাধ্য করে জাহিদুল।
এরপর জাহিদুলসহ তার সাথে থাকা তিন যুবক ছাত্রীকে জোর করে মাইক্রোবাসে তোলার চেষ্টা করে। এসময় ছাত্রী চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এসে তাকে উদ্ধার করে। এ সময় শিক্ষার্থীরা জাহিদুলকে গনপিটুনি দেয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির কয়েকজন সদস্য গিয়ে জাহিদুলকে উদ্ধার করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
অভিযোগ পত্র সূত্রে জানা যায়, প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই ওই ছাত্রীকে জাহিদুল উত্যক্ত করে আসছিলো। জাহিদুলকে বিয়ে না করলে তাকে অপহরণ করার হুমকিও দেওয়া হয়েছিলো। এর মধ্যে অভিভাবকদের মধ্যস্থতায় বিষয়টি একবার মীমাংসা হলেও গতকাল ছাত্রীকে অপহরনের চেষ্টা করে জাহিদুল।
এ বিষয়ে প্রক্টর শিকদার মো. জুলকার নাইন বলেন, ‘দুই জনকেই তাদের অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ওই ছাত্রীর লিখিত অভিযোগ আমরা পেয়েছি। অতি দ্রুত আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
কেআই/এসি
আরও পড়ুন