ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

জায়েদ খান মাকে ডিস্টার্ব করেন: মৌসুমীর ছেলে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:০৪, ১৩ জুন ২০২২

ঢাকাই সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় দম্পতি ওমর সানী ও মৌসুমী। ১৯৯৬ সালে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। সুখে-শান্তিতে দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে সংসার করে আসছেন। কিন্তু সম্প্রতি শুরু হওয়া এক বিতর্কে ভক্তদের মনে আশঙ্কা, চিড় ধরেছে সানী-মৌসুমীর সম্পর্কে!

সেই আশঙ্কা আরও বেশি পোক্ত হলো মৌসুমীর একটি অডিও বক্তব্যে। জায়েদ খান ও ওমর সানীর মধ্যকার দ্বন্দ্ব-লড়াই ইস্যুতে জায়েদ খানের পক্ষ নিয়েছেন মৌসুমী। বলেছেন, জায়েদ খান ভালো ছেলে, সে তাকে কোনো অসম্মান করেনি। এরপর ফেসবুক লাইভে এসে এ নিয়ে নিজের অবস্থান তুলে ধরেন ওমর সানী। জানান, তার ছেলে ফারদিন ও মেয়ে ফাইজা এ বিষয়ে সব জানেন। তাদের কাছে যথেষ্ট্র তথ্য প্রমাণও আছে। 

এবার এ বিষয়ে মুখ খুললেন ওমর সানী-মৌসুমী দম্পতির ছেলে ফারদিন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, "তার (জায়েদ খান) বিষয়ে সবাই মোটামুটি জানেন। শুধু আমার আম্মা না, উনি কমবেশি সবাইকে হ্যারাস করে থাকেন। উনি আমার আব্বুর সাথেও বেয়াদবি করেছেন, আম্মুর সাথেও করেছেন। কিন্তু আম্মু ভেবেছেন, বিষয়টা সিভিল ম্যাটার, এটা ফ্যামিলির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকুক। আমরা নিজেরাই সলভ করবো।’

ফারদিনের ভাষ্যে, ‘আব্বু আম্মু দুজন চাচ্ছেন যেন বিষয়টা দ্রুত সমাধান হয়ে যায়। ছেলে হিসেবে আমি তো আব্বু আম্মু দুজনকেই চাইবো। দিন শেষে আমার চাওয়া যেন এটা দ্রুত সমাধান হয়।"

ফারদিন আরও বলেন, ‘সত্যি কথা হলো উনি (জায়েদ খান) ডিস্টার্ব করেন। আমি চাইলেও এখন প্রমাণ সবার সামনে হাজির করবো না। উনি আমার ব্যবসারও ক্ষতি করার চেষ্টা করেছেন। এগুলো হয়ত প্রমাণ দিতে পারব না। আমি জানি বিষয়গুলো, পাবলিকলি সব বলবোও না। তবে উনাকে নিয়ে চিন্তায় পড়ে যাবো এমন না। উনাকে এত গুরুত্ব দিচ্ছি না। জায়েদ খান আর রাস্তার ব্যাঙ এক কথা। তাই উনাকে নিয়ে ভাবছি না।’

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১০ জুন) খল অভিনেতা ডিপজলের বড় ছেলের বিবাহোত্তর সংবর্ধনায় অংশ নেন ওমর সানী। সেখানে তিনি জায়েদ খানকে চড় মেরেছেন বলে দাবি করেছেন। বিপরীতে জায়েদ তাকে পিস্তল ঠেকিয়ে হুমকি দিয়েছে। এরপর শিল্পী সমিতিতে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন সানী। 

এসবি/ 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি