জিডিপি অর্জনে অতীতের সব রেকর্ড ভাঙ্গলেন বর্তমান সরকার
প্রকাশিত : ১৩:১১, ১৮ জানুয়ারি ২০১৮
দেশজ আয় ও প্রবৃদ্ধি অর্জনে বর্তমান সরকার অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। ২০০৫-০৬ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ছিল ৭২ বিলিয়ন ডলারেরও কম। তবে ২০০৮-০৯ অর্থবছরে দেশজ উৎপাদন ১০২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। আর ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তা এসে দাঁড়ায় ২৫০ বিলিয়ন ডলারে, যা ২০০৫-০৬ অর্থবছরের তুলনায় প্রায় সাড়ে তিনগুণ বেশি।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে `দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির ৯ বছর` শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করতে গিয়ে ড. শামসুল আলম এসব কথা বলেন। এসময় তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের দায়িত্ব গ্রহণকালে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫.১ শতাংশ যা ২০১৬-১৭ সালে ৭.২৮ শতাংশে উন্নীত হয়। বাংলাদেশের ইতিহাসে এ ধরণের ধারাবাহিক উচ্চ প্রবৃদ্ধিকে বিরল ঘটনা বলে অভিহিত করেন এই অর্থনীতিবিদ
বিশ্বে মাথাপিছু জিডিপি দ্বিগুণ করতে হলে অন্তত ২০ বছর অপেক্ষা করতে হয় জানিয়ে ড. শামসুল আলম বলেন, বাংলাদেশে তা অর্জন করতে মাত্র ৭ বছর সময় লেগেছে। এছাড়া যুক্তরাজ্যভিত্তিক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান প্রাইস ওয়াটারহাউস কুপারস - এর `২০৫০ সালের বিশ্ব ` শীর্ষক প্রতিবেদন অনুযায়ী আগামী বছরগুলোতে যে তিনটি দেশ সবচেয়ে দ্রুতগতির প্রবৃদ্ধি ধারা প্রদর্শণ করবে, তার অন্যতম হলো বাংলাদেশ। ওই প্রতিবেদন অনুসারে ক্রয়ক্ষমতার সক্ষমতা অনুযায়ী ২০১৬ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৩১ তম। অর্থাৎ ওই বছর বাংলাদেশ ছিল বিশ্বের ৩১ তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ।
তিনি আরও জানান, এই ধারা বজায় রাখা সম্ভব হলে ২০৩০ সালে বাংলাদেশ উঠে আসবে ২৮ তম স্থানে এবং ২০৫০ সালে বাংলাদেশ ২৩ তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হিসেবে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বানিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতিবিদ ড. আবুল বারাকাত।
আআ/এমজে
আরও পড়ুন