জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলা : পরবর্তী যুক্তি উপস্থাপন ৩ জানুয়ার
প্রকাশিত : ২১:৩৬, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭
জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে বৃহস্পতিবারের মতো যুক্তি উপস্থাপন শেষ হয়েছে। পরবর্তী যুক্তি উপস্থাপনের জন্য আদালত আগামী ৩ ও ৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন। যুক্তিতর্কে খালেদার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন আদালতকে বলেন, জিয়া এতিমখানার টাকা তছরুপ হওয়ার কোনো তথ্য-প্রমাণ নেই।
প্রসঙ্গত, জিয়া এতিমখানা ট্রাস্টের নামে বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালে এ মামলা করে দুদক।
এ মামলায় খালেদার পক্ষে আইনজীবী আবদুর রেজাক খান মোট চার দিন যুক্তি উপস্থাপন করার পর বুধবার খন্দকার মাহবুব তার যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন। ওই দিন তিনি সর্বমোট ১৫ মিনিট সময় পান। পরবর্তিতে আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খালেদা জিয়া আদালতে উপস্থিত হওয়ার পর আইনজীবী খন্দকার মাহবুব তার বাকি বক্তব্য উপস্থাপন শুরু করেন।
খন্দকার মাহবুব বলেন,‘ জিয়া এতিমখানা ট্রাস্টের নামে বিদেশ থেকে টাকা এসেছিল। ওই টাকা কুয়েতের আমির পাঠিয়েছিলেন। সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান সেই টাকা এনেছিলেন। ওই টাকা জিয়া মেমোরিয়াল ট্রাস্টে গিয়েছিল। কিন্তু সেখানে কোনো ধরনের মামলা হয়নি। এক যাত্রায় পৃথক ফল ফল কেন হল? এটা তো হয় না। এ মামলায় ‘রাজনৈতিক গন্ধ’ আছে এবং মামলাটি ‘রাজনৈতিক কালিমালিপ্ত।’
তার বক্তব্য শেষে ১৫ মিনিটের বিরতি দেওয়া হয়। পরে পৌনে ১টার দিকে যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন খালেদার েঅপর আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। মোহাম্মদ আলী মন্তব্য করেন, রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলায় ‘ভুয়া তথ্যপ্রমাণ’ দাখিল করেছে।
এরপরই দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল এ কথার প্রতিবাদ জানায়। আইনজীবী কাজল কথা বলায় খালেদার আইনজীবীরা এ সময় হৈ চৈ শুরু করেন। এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘এটা আমাদের কথা বলা সময়। আপনি কথা বলতে পারেন না।’
এরপর আরো কিছু সময় শুনানি চলার পর আবারও বাদানুবাদ শুরু হলে আদালতের বিচারক শুনানি ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি করে দেন।
উল্লেখ্য, বিদেশ থেকে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্টে আসা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা এ মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে সাত দিন বক্তব্য দেন খালেদা জিয়া। গত ৫ ডিসেম্বর তার বক্তব্য শেষ হলে বিচারক যুক্তিতর্ক শুনানির দিন ঠিক করে দেন। যুক্তিতর্ক শুনানির শুরুর দিন ২০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তি তুলে ধরেছিলেন দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।
জিয়া এতিমখানা ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুদক। তদন্ত শেষে ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্র দেন। পাঁচ বছর পর ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ অভিযোগ গঠন করে খালেদাসহ ছয় আসামির বিচার শুরু করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান, সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান, মাগুরার সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ।
আর
আরও পড়ুন