জীবাণুমুক্ত বাড়ি পাবেন যদি এই নিয়মগুলো মানেন
প্রকাশিত : ১৩:৪১, ২৯ জুন ২০২০
করোনাকালীন বর্তমান পরিস্থিতিতে বেশি প্রয়োজন হাইজিন। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে সবসময়ই। বার বার হাত ধুতে হবে। শুধু নিজেকে নয়, পরিষ্কার রাখতে হবে আপনার বাসস্থানও। কারণ বাসা-বাড়িতে জীবাণু থাকলে তা দিয়েও আপনি সংক্রমিত হতে পারেন।
অনেক বাড়িতেই এখন পরিচারিকারা আসতে পারছেন না। সে ক্ষেত্রে ঘর পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব সম্পূর্ণ আপনার। ফিনাইল হোক কিংবা স্যানিটাইজার, সবসময় ঘর পরিষ্কার রাখাটাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে অনেকেরই কাছে। কত সহজে ঘর পরিষ্কার রাখা যেতে পারে?
বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে পুরনো দিনের বাড়ি হোক কিংবা আধুনিক ফ্ল্যাট সবই জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে। লিভিং রুম, বেড রুম, কিচেন, ওয়াশ রুম সবকিছু পরিষ্কার এবং জীবাণু মুক্ত রাখতে পারবেন যদি এই নিয়মগুলো মানেন...
১. যদি কেউ আবাসন বা ফ্ল্যাটের বাসিন্দা হন, তাহলে সেখানে ঢোকার আগে বাড়ির নীচে নির্দিষ্ট জোন তৈরি করা যেতে পারে আলোচনার মাধ্যমে। স্যানিটাইজিং টানেল ব্যবহার করতে পারলে ভাল, কিন্তু সব জায়গায় এটা করা সম্ভব নয়।
২. যেসব ক্ষেত্রে টানেল তৈরি সম্ভব নয়, সে ক্ষেত্রে বাড়ি বা ফ্ল্যাটে প্রবেশের সময় পানি, সাবান, ফিনাইল রেখে প্রয়োজন অনুযায়ী পরিচ্ছন্ন হয়ে ঘরে প্রবেশ করলে যে কোনও রকম জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা অনেকটাই কমবে।
৩. বাড়ির ক্ষেত্রেও প্রবেশের সময় এমন ব্যবস্থা রাখা সম্ভব। প্রবেশ দ্বারের পাশেই একই ভাবে স্যানিটাইজিং জোনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। জুতা ঘরের ভিতর রাখা যাবে না। সেই জুতো স্যানিটাইজ করে প্রবেশ করতে হবে। আর ঘরে আলাদাভাবে প্লাস্টিকের জুতা পরতে হবে।
৪ . নকশাদার আসবাবপত্রের ক্ষেত্রে পরিষ্কারের সময় জীবাণুনাশক ব্যবহার করতে হবে। ল্যামিনেশন বা সানমাইকার ক্ষেত্রে বাজার চলতি স্প্রে স্যানিটাইজার ব্যবহার করলেই হবে।
৫. এখনকার বেশির ভাগ আসবাবপত্রে ভিনিয়ারের ক্ষেত্রে একটা কোটিং বা আস্তরণ থাকে। এগুলো স্যানিটাইজার স্প্রে করে সহজেই পরিষ্কার রাখতে পারেন। তবে কোটিং না থাকলে পরিষ্কারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
৬. কাঁচের জিনিসের ক্ষেত্রেও প্রথাগত পদ্ধতি মেনেই পরিষ্কার করতে হবে। একইসঙ্গে স্যানিটাইজার স্প্রে করে পরিষ্কার করতে পারলে ভাল।
৭. বাড়িতে অতিথি এলে বসার জায়গা স্যানিটাইজ করার জন্য বাজার চলতি ছোট ছোট স্প্রে ব্যবহার করা যায়। বাইরের কেউ বাড়িতে এসে নির্দিষ্ট জায়গায় বসলে, বসার আগে এবং চলে গেলে সে ক্ষেত্রে ওই বসার জায়গায় স্প্রে ব্যবহার করা যেতে পারে।
৮. লিভিং রুমে সোফা কভার (ওয়াশেবল হতে হবে) স্যানিটাইজ করতে হবে প্রয়োজন মতো। ফ্যাব্রিক মেটেরিয়ালের সোফা হলে সেটিও পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। বড় সোফার বদলে একাধিক ছোট সোফা, চেয়ার ব্যবহার করা সুবিধাজনক। স্যানিটাইজিং স্প্রে দিয়ে পরিষ্কার করতেও সুবিধা হবে।
৯. বাড়িতেই যাদের অফিস, তারা ঢাকা দেওয়া ফাইল ক্যাবিনেট ব্যবহার করুন। বাজারে অটোমেটিক স্প্রে পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে।
১০. বাইরে থাকে আনা বাজার রান্না ঘরের সিঙ্কে পরিষ্কার করতে হয়। সে ক্ষেত্রে সিঙ্কের মধ্যে থাকা পানি যেন রান্নার সংস্পর্শে না আসে।
১১. বাড়ির খাবার জায়গা এবং হাত মুখ ধোওয়ার জায়গা বা বেসিনের মধ্যে ন্যূনতম দূরত্ব থাকতে হবে। সে ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকতে হবে। বেসিন বারবার পরিষ্কার করতে হবে। ওই বিশেষ জায়গাটি নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
১২. কার্পেট এবং ফলস সিলিং এই মুহূর্তে একেবারেই ব্যবহার করা যাবে না। কারণ এতে ড্রপলেট আটকে থাকার আশঙ্কা থাকে।
১৩. ঘুম থেকে উঠেই রোজ নিয়ম করে আসবাবের উপরের অংশটুকু বা বারান্দা কিংবা জানলার গ্রিল স্যানিটাইজার স্প্রে দিয়ে মুছে নেওয়া যায়।
১৪. রান্নাঘরের ক্ষেত্রে রান্না শুরুর আগে এবং পরে নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। যাতে কোনরকম ধুলো বা ড্রপলেট জমতে না পারে, তার দিকে নজর রাখতে হবে।
১৪. রান্নাঘরের সিঙ্ক, বেসিন, কিংবা টয়লেটের কল একটা পাতলা কাপড় দিয়ে কলিন্স, স্যানিটাইজিং স্প্রে দিয়ে রোজ পরিষ্কার করতে হবে।
সূত্র: আনন্দবাজার
এএইচ/