সমাবেশে বাম নেতারা
জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী স্বীকৃতি দিন
প্রকাশিত : ২২:৩৮, ২০ ডিসেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১১:০৩, ২১ ডিসেম্বর ২০১৭
জরুরি ভিত্তিতে জাতীয় সংসদে অধিবেশন আহবান করে জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী স্বীকৃতি দিতে আহবান জানিয়েছেন দেশের বামপন্থী নেতারা। সিপিবি-বাসদ ও গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার ডাকে বুধবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশে এ আহবান জানান কারা।
মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প কর্তৃক জেরুজালেম নগরীকে একতরফাভাবে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের প্রতিবাদে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাসদ সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টিও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, সিপিবি সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। সমাবেশ পরিচালনা করেন সিপিবি প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, ১৯৯৩ সালে ইসরাইল-ফিলিস্তিন শান্তি চুক্তিতে জেরুজালেম বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ইস্যুটি পরবর্তীতে নির্ধারিত হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। জেরুসালেমের উপর ইসরাইলী সার্বভৌমত্ব আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নয়। ১৯৯৫ সালে ‘জেরুজালেম অ্যাম্বেসি অ্যাক্ট’ প্রণীত হওয়ার পর থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আগ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সব রাষ্ট্রপতিগণ এ আইন বাস্তবায়ন না করে প্রলম্বিত করেছেন।
তারা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানকে ‘বাস্তবতার প্রতি স্বীকৃতি’ প্রদান বলে দাবি করেছেন, যা সত্য নয়। সত্য হচ্ছে ট্রাম্প তার জায়নবাদী ইহুদী সমর্থকদের নির্বাচনের সময় যে অঙ্গীকার করেছিলেন সে অঙ্গিকার পূরণের জন্যই এ ঘোষণা দেয়া হচ্ছে।
নেতৃবৃন্দ এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের নিরবতায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, ১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ফিলিস্তিনির জনগণ ইয়াসির আরাফাতের নেতৃত্বে বাংলাদেশের মুক্তির সংগ্রামের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেছিল। বাংলাদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকেই ফিলিস্তিনির স্বাধীনতার জন্য ইসরাইলে বিরুদ্ধে সম্মুখ সমরে জীবন দিয়েছে। নেতৃবৃন্দ সরকারকে জরুরিভাবে জাতীয় সংসদে অধিবেশন আহবান করে জেরুসালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানে আহবান জানান। নেতৃবৃন্দ জাতিসংঘে সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনের মুক্তির সংগ্রামের পক্ষে বাংলাদেশকে দৃঢ় অবস্থান নেয়ার আহবান জানান। সেইসাথে মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা সৃষ্টিকারী মার্কিন চক্রান্তের সৃষ্ট সৌদি যুদ্ধজোট থেকে বাংলাদেশের নাম প্রত্যাহারের আহবান জানান।
সমাবেশ শেষে ঘৃণার প্রতীক হিসেবে সাম্রাজ্যবাদের মোড়ল মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের কুশপুত্তলিকায় অগ্নিসংযোগ করা হয়। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিলি মার্কিন সাম্রজ্যবাদ বিরোধী শ্লোগান দিয়ে রাজপথ প্রদক্ষিণ করে।
আর
আরও পড়ুন