ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

জোঁক দিয়ে জটিল রোগের চিকিৎসা 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:১৩, ৩ অক্টোবর ২০১৮

জোঁককে কাজে লাগিয়ে আজকাল জটিল সব রোগের চিকিৎসা সম্ভব হচ্ছে৷ তেমনই কয়েকটি রোগের বিষয়ে আলোকপাত করা হলো।   

কীভাবে শুরু হলো এই চিকিৎসা?
জোঁককে কাজে লাগিয়ে জটিল রোগ নিরাময়ের থেরাপির নাম ‘জোঁক থেরাপি’৷ এই অভিনব পদ্ধতিতে চিকিৎসা শুরু হয় ২০০৪ সালে৷ এই সময় একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত হয় যে, জোঁক বাস্তবিকই নানাভাবে মানবশরীরের উপকারে আসে৷

হৃদরোগের চিকিৎসা
২০১১ সালের একটি গবেষণায় দেখা যায়, ঠিক পদ্ধতিতে জোঁককে ব্যবহার করলে সারা শরীরে রক্তের সঞ্চালন বেড়ে যায়৷ ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়তে থাকে৷ আসলে জোঁকের স্যালাইভা বা লালা এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে৷ অলটারনেটিভ মেডিসিন রিভিউ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, ব্লাড ক্লট এবং পা ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা কমাতেও এই পদ্ধতি বিশেষ ভূমিকা পালন করে৷

ক্যানসারের চিকিৎসা
এই মরণ রোগের চিকিৎসায় বেশ সহায়ক ভূমিকা পালন করে জোঁক৷ একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, অন্য ওষুধের পাশাপাশি ক্যানসার রোগীর শরীরে যদি জোঁকের স্যালাইভা প্রবেশ করানো যায়, তাহলে স্তন, মেলানোমা, ফুসফুস এবং প্রস্টেট ক্যানসারের প্রকোপ অনেকাংশেই কমানো সম্ভব৷

ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণ
বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী ২০ বছরের মধ্যে সারা বিশ্বে প্রায় ৩৬ কোটি মানুষ ডায়াবেটিসে ভুগবে৷ বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি ডায়াবেটিসের কারণে হওয়া নানাবিধ জটিলতা কমাতে জোঁক থেরাপি দারুণ কার্যকর৷

ছোঁয়াচে রোগের প্রকোপ কমায়
জোঁকের শরীরে থাকা ডেস্টাবিলেস নামক এক ধরনের প্রোটিন আমাদের শরীরে প্রবেশ করার পর সব ধরনের জীবাণুকে মেরে ফেলে রোগের প্রকোপ কমাতে সাহায্য করে৷ প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালে হওয়া একটি গবেষণায় দেখা গেছে, জোঁকের শরীরে থাকা নিউরোসিগনালিং এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল পেপটাইড যে কোনো ধরনের সংক্রমণকে কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে৷

অস্টিওপোরোসিসের চিকিৎসা
জয়েন্টে ব্যথা হলে সেসব জায়গায় কিছু সময় জোঁককে রাখলে সেখানে রক্ত সরবরাহ প্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটে৷ ফলে অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগীরা অনেক উপকৃত হন৷

কানের যন্ত্রণা কমায়
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, কানের ক্রণিক যন্ত্রণা কমাতে জোঁকের কোনো বিকল্প নেই৷ এক্ষেত্রে একটা জোঁক কানের পিছনে, আর একটি কানের সামনে কিছু সময় রেখে দিতে হবে৷ এমনভাবে ৩-৪ দিন করলেই যন্ত্রণা একেবারে কমে যাবে৷ সূত্র: ডয়েচে ভেলে  

এসি   

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি