জ্বালানি সাশ্রয়ের পদক্ষেপকে যৌক্তিক বলছেন বিশেষজ্ঞরা (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৪:৪৯, ২১ জুলাই ২০২২
২৫ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন সক্ষমতা থাকলেও, জ্বালানি সাশ্রয়ের পদক্ষেপ হিসেবে বিদ্যুতের উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্তকে যৌক্তিক বলছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই সাথে আমদানি-নির্ভরতা কমিয়ে গ্যাসের অনুসন্ধান ও উত্তোলন বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন তারা।
করোনার ভয়াবহতা কমার পর চাহিদা বৃদ্ধি ও ইউক্রেন-রাশিয়া-যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে দেখা দিয়েছে জ্বালানি সংকট। বিশ্ববাজারেও দাম অস্বাভাবিক। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে ধনী-গরীব সব দেশ। জ্বালানি সাশ্রয়ে বিদ্যুতের উৎপাদন কমিয়েছে সরকার।
দীর্ঘদিন পর ফিরে এসেছে লোডশেডিং।
এই পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রেখে রপ্তানি-বাণিজ্যের বিদ্যমান গতিশীলতা ধরে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। শিল্প-কারখানা লোডশেডিংয়ের আওতামুক্ত রাখার পক্ষে মত তাদের।
জ্বালানি ও ভূতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. বদরূল ইমাম বলেন, “শিল্পাঞ্চলে যদি গ্যাস না দেওয়া হয় তাহলে এটার এ্যাফেক্ট আরও বড়। শিল্পের উৎপাদন কমে গেলে পণ্যের দাম বাড়বে।”
এলএনজির ওপর নির্ভরশীল না হয়ে দেশে গ্যাসের অনুসন্ধান ও উৎপাদন বাড়ালে সংকট তৈরি হতো না, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
অধ্যাপক ড. বদরূল ইমাম আরও বলেন, “যে ভুলটা হয়েছে সেটা হচ্ছে এই ক্যাপাসিটি বাড়ার সাথে সাথে জ্বালানির যোগান বাড়ান হয়নি।”
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. ম তামিম বলেন, “উৎপাদন বাড়ানোর ক্ষেত্রে আমি বলবো পেট্রোবাংলা ফেল করেছে। এই বিপদে এসে এখন বলছে আগামী তিন বছরে ৬শ’ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করতে পারবো। তাহলে ৬-৭ বছরে আগে এটা করা হয়নি কেন।”
গত ২০ বছরে দেশীয় প্রতিষ্ঠান বাপেক্স ও বিদেশি কোম্পানিগুলো মাত্র ২৬টি কূপ খনন করেছে। এর মধ্যে বেশকটির সংস্কার প্রয়োজন। গ্যাসের উৎপাদন বাড়াতে দ্রুত সময়ে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেয়ার তাগিদ তাদের।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. ম তামিম বলেন, “১৯৯৯ সালের আইওসির সবচেয়ে বড় বিবিয়ানা গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কার হয়। তারপর ২০০৫ সালে ভাঙ্গুলা আসে। এই দুটোর পরবর্তীতে আর কোন ধরনের অনুসন্ধানের কাজ হয়নি।”
অধ্যাপক ড. বদরূল ইমাম বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে একটা উপেক্ষা দেখেছি, আমাদের নিজস্ব সম্পদের উপর নির্ভরশীলতা কমানো হয়েছে।”
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধের পাশাপাশি বৈশ্বিক জালানি সংকট না কাটা পর্যন্ত লোডশেডিংয়ের বিকল্প দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা।
অধ্যাপক ড. ম তামিম বলেন, “যত অবকাঠামো তৈরি করা হবে ততোই দেশের জন্য মঙ্গল। কারণ জ্বালানির নিরাপত্তার জন্য যেমন নিজস্ব জ্বালানি দরকার আছে, তেমনি আমদানিরও দরকার আছে।”
পরিস্থিতি মোকাবেলায় গ্যাস-বিদ্যুৎ ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার পরামর্শ বিষেশজ্ঞদের।
এএইচ