ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

টাইগারের কাছে হাথুরুর পরাজয়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:৫৫, ১৯ জানুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ২২:৫৪, ১৯ জানুয়ারি ২০১৮

প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে উড়িয়ে দিয়ে ইঙ্গিতটা ভালই দিয়েছিলেন ম্যাশরা। এবার সাবেক গুরু হাথুরুসিংহের নতুন বাহিনীকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের যাত্রাটা আরও শাণিত করলো সাকিব-তামিমরা। আজ শুক্রবার দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ১৬৩ রানের বড় ব্যবধানে হরিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের ট্রপি জয়ের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে টাইগার বাহিনী।

টাইগারদের দেওয়া রানের পাহাড়ের নিচে আগেই চাপা পড়েছিল লঙ্কানরা। এবার ব্যাটসম্যানদের দেখানো পথেই হেঁটেছে বোলাররা। সাঙ্গাকারা-দিলশানদের উত্তরসূরীদের মাত্র ১৫৭ রানে গুটিয়ে দিয়ে বড় ব্যবধানের জয় এনে দেয় টাইগার বোলাররা।

দ্বিতীয় ওভারে নাসিরে অফ স্পিনে বোল্ড হয়ে ফেরেন কুশল ফেরেরা। এরপর ভালভাবেই দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান উপল থারাঙ্গা। তবে শেষ পর্যন্ত মাশরাফির বলে মাহমুদুল্লাহর হাতে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ২৫ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি।

এরপর কুশল মেন্ডিজকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে দিয়ে জোড়া আঘাত হানেন টাইগার দলপতি মাশরাফি বিন মুর্তজা। এদিকে মাশরাফির আঘাতের পর কাটার বয় মোস্তাফিজও তুলে নেন নিরশান ডিকওয়েলার উইকেট। মাত্র ১৬ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি।

এরপর দিনেশ চান্দিমালকে রান আউট করার পর অ্যাসেলা গুনারত্নকে ফিরিয়ে দেন সাকিব। একই ওভারে ফিরিয়ে দেন হাসারাঙ্গাকে। প্রথম ম্যাচের আজকের ম্যাচেও তিন উইকেট লাভ করেন সাকিব। ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিক পারফন্সের পর বোলিংয়েও দারুণ ধার দেখিয়েছেন সাকিব।

এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে টাইগাররা সংগ্রহ করেন ৩২০ রান। তামিম-সাকিব ও মুশফিকের হাফ সেঞ্চুরির উপর ভর করে এ রানের পাহাড় গড়ে টাইগার বাহিনী।

 

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দলকে চমৎকার সূচনা এনে দেন তামিম ইকবাল এবং এনামুল হক বিজয়। শুরুতেই ক্যাচ দিয়ে জীবন পাওয়ার পর তামিমের সঙ্গে ৭১ রানের জুটি গড়েন বিজয়। এরপর ৩৭ বলে ৩ চার ১ ছক্কায় ৩৫ রান করে থিসারা পেরেরার বলে উইকেটকিপার নিরোশান ডিকাভেলার গ্লাভসবন্দি হন এনামুল।


তবে ৭২ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ক্যারিয়ারের ৪০তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। হাফ সেঞ্চুরির পর হাত খুলতে শুরু করেন তামিম। টার্গেট দশম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। কিন্তু দুঃখজনকভাবে ৮৪ রানেই থামতে হল তাকে। আকিলা ধনঞ্জয়ার বলে ডিকাভেলার গ্লাভসবন্দি হওয়ার আগে ১০২ বলের ইনিংসে মেরেছেন ৭টি চার এবং ২টি ছক্কা। সাকিবের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে তার জুটি ৯৯ রানের।


তিন নম্বর পজিশনের মান রেখে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার সাকিব। অষ্টম সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যেতে যেতে গুনারত্নের বলে কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে থামতে হল তাকে। আউট হওয়ার আগে সাকিবের সংগ্রহ ৬৩ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৬৭ রান। অপর প্রান্তে হাত খুলে খেলছিলেন মুশফিক। ৩ চার ১ ছক্কায় ক্যারিয়ারের ২৮তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিলেন ৪২ বলে। ভায়রা ভাই মাহমুদ উল্লাহ তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে ২৩ বলে ২৪ রান করে নুয়ান প্রদিপের শিকার হন তিনি।


মুশফিকের সঙ্গী হন সাব্বির। ৫২ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ১ ওভার বাউন্ডারিতে ৬২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে থিসারা পেরেরার ইয়র্কারে বোল্ড হয়ে যান মুশফিক।

এমজে/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি