ঢাকা, সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

টাকা দিলেই বৈধ, না দিলে ডাম্পিংয়ে (ভিডিও)

সাইদুল ইসলাম

প্রকাশিত : ১৪:১৩, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

Ekushey Television Ltd.

টাকা দিলেই বৈধ, না দিলে সরাসরি ডাম্পিংয়ে। অটো প্রতি ৩ হাজার আর রিকশার জন্য ২ হাজার টাকা দিলেই মিলছে বৈধতার স্টিকার। থাকে না আর ট্রাফিক পুলিশের হয়রানি। এমন বাস্তবতায় রাজধানীজুড়ে বেড়েই চলেছে ব্যাটারিচালিত অটো আর রিক্সার দৌরাত্ম্য। তবে পুলিশের দাবি, এসব যানবাহন দেখলেই ডাম্পিংয়ে পাঠানো হয়। 

এভাবেই রাজপথ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারি চালিত অবৈধ অটো ও রিক্সা। দিনে মূল সড়কের বাইরে আর সন্ধ্যা নামলে সব সড়কেই অবাধ চলাচল। অভিযোগ আছে, ট্রাফিক পুলিশের সহায়তায় বিশেষ সিন্ডিকেট তৈরি করে রাস্তায় নামছে এসব বাহন। 

প্রতিটি অটোতে গোলাপফুল ও আনারস বা টাইগার থাকলে রাস্তায় নামবে, না হয় পুলিশ নিয়ে যাবে। অটোতে ৩ হাজার আর রিকশা প্রতি ২ হাজার টাকার বিনিময়ে মিলে এই বিশেষ স্টিকার। যাতে বৈধতা পেয়ে যায় অবৈধ এসব অটো ও রিক্সা। চালকরা বলছেন, টাকা দেয়া বন্ধ করলে রাস্তা এমনকি গলির মধ্য থেকেও পুলিশ ধরে নিয়ে আসে।

অভিযোগকারীরা জানান, ধরে চিপায় নিয়ে ১২শ’ টাকা নিয়ে ছাড়ে। না দিলে কেস দিয়ে দেয়। গলির ভেতর থেকেও ধরে নিয়ে আসে। যদিও গলির ভেতরে ধরার অনুমতি নাই।

মোটা অংকের মাসোহারা দিয়ে রাজপথে চালানো এসব অবৈধ যানবাহন চালকরা সরাসরি পুলিশের বিরুদ্ধে কথাও বলতে চান না। 

চালকরা জানান, প্রতিদিন জমার ৪৫০ টাকা মালিক নিয়ে নেয়। আর মাসে ৩ হাজার টাকা দিয়ে একটি কার্ড লই। টাকা দিয়ে কার্ড দেয়া-নেয়ার একটা সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে। কার্ড থাকলে ছেড়ে দেয় আর না থাকলে ধরে নিয়ে যায়।

আরেকজন জানান, ধরে নিয়ে গেলে ৮-১০ হাজার টাকা দিয়ে ছাড়িয়ে আনতে হতো। টোকেনের পর এখন আর ধরে না।

অন্যদিকে এসব যানবাহনের উৎপাতে অতিষ্ঠ নগরবাসী। এছাড়া গতির কারণে দুর্ঘটনাও ঘটছে হরহামেশা। 

ব্যাটারি চালিত অটো বা রিক্সা পুরোপুরি অবৈধ হলেও কেনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না- এমন প্রশ্ন ছিল দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ ইন্সপেক্টরের কাছে। স্পষ্ট কোনো উত্তর মেলেনি তাঁর কাছ থেকে।

ট্রাফিক পুলিশের ছত্রছায়ায় ব্যাটারিচালিত অবৈধ অটো ও রিক্সা চলাচল বন্ধের প্রত্যাশা ভুক্তভোগী নগরবাসীর। 

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি