টিলা কাটা থেকে সরে আসল শাবি
প্রকাশিত : ১৬:২৫, ২৯ জুলাই ২০২০
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবি) নতুন ছাত্রী হল নির্মাণের জন্য টিলা কাটা শুরু করলে সমালোচনার মুখে পড়ে এখন তা বন্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ। আর টিলা কাটা হবে না বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম।
আগের করা লে আউট থেকে সরে নতুন লে আউটে হল নির্মাণ করা হবে বলেও তিনি জানান। গত সপ্তাহে ছাত্রীদের জন্য নতুন হল নির্মাণ কাজের জন্য নির্ধারিত জায়গা সংলগ্ন টিলার কিছু অংশ কাটা শুরু করেছিল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিএফ কর্পোরেশন।
এ ঘটনায় গত ২৪ জুলাই একুশে টিভি অনলাইনে ‘টিলা কেটে হল নির্মাণ, মানতে নারাজ প্রশাসন’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। এরপর থেকেই বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। টিলা কাটার প্রতিবাদে শাবির সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, পরিবেশ বিষয়ক সংগঠন গ্রিন এক্সপ্লোর সোসাইটিহ বেশ কিছু সংগঠন প্রতিবাদ জানায়।
টিলা কাটার ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)। সংগঠনটির সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম চৌধুরী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হল নির্মাণের নামে টিলার ঢাল কাটা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার সুযোগে এ কাজ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় যদি পরিবেশ আইনের তোয়াক্কা না করে, তাহলে বিষয়টি শুধু পরিবেশবাদী নয়, সাধারণ মানুষজনের জন্যও দুঃখজনক।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরাও টিলা না কেটে উন্নয়নমূলক কাজ করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান । উপাচার্য প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ প্রাথমিকভাবে টিলা কাটার বিষয়টি স্বীকার না করলেও পরে টিলা কাটা বন্ধ করতে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দেন। বর্তমানে সেখান থেকে টিলা কাটার সব যন্ত্রপাতি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে উক্ত জায়গা থেকে টিলার অংশ কাটা বাদ দেওয়া হয়েছে। এক্সক্যাভাটর মেশিন ওই জায়গা থেকে আমরা সরিয়ে নিয়েছি, সেজন্য হয়তোবা আমাদের নির্মাণাধীন হলের কয়েকটি রুম লে-আউট থেকে বাদ দেওয়া লাগতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম হলের পাশের যে জলাধার আছে তা আরও দৃষ্টিনন্দন করতে, কিন্তু লে-আউট চেঞ্জ হলে আমরা তা আর করতে পারবো না। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে হলের জন্য নির্ধারিত সব জায়গাই টিলার পাদদেশ অথবা দুই টিলার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত। তাই একটা হল তৈরি করার জন্য টিলার পাদদেশের উঁচু নিচু জায়গা সমান না করলে বিল্ডিং করা সম্ভব নয়। ক্যামম্পাসের অভ্যন্তরে যেসব খালি জায়গা রয়েছে তা একাডেমিক বিল্ডিং করার জন্য নির্ধারিত।’
এআই/এমবি
আরও পড়ুন