টেকসই উন্নয়নে দরকার সমৃদ্ধি কর্মসূচি: এ এম এ মুহিত
প্রকাশিত : ২২:২৩, ১৪ নভেম্বর ২০১৯
টেকসই উন্নয়নের অভীষ্ট অর্জনের লক্ষ্যে সুপরিকল্পিত অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি কর্মসূচি দরকার বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। তিনি বলেন, সমৃদ্ধি কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের সব অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ত্বরান্নিত হলে দেশের স্থিতিশীল ও টেকসই উন্নয়ন সম্ভব।
বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০১৯ পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) আয়োজিত উন্নয়ন মেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। উন্নয়ন মেলায় সমৃদ্ধি কর্মসূচির মাধ্যমে মানবমর্যাদা প্রতিষ্ঠা বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ সেমিনার হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন পিকেএসএফ সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোঃ মুসলিম চৌধুরী।
‘ইস্টাবলিশিং হিউম্যান ডিগনিটি থ্রো ইনরিস প্রগ্রাম অব পিকেএসএফ’ শীর্ষক প্রথম প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিকেএসএফ-এর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোঃ জসীম উদ্দিন। সমৃদ্ধি কর্মসূচির ওপর দ্বিতীয় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. আসিফ মোহাম্মদ শাহান।
মূল আলোচক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এম এ বাকী খলীলী পিকেএসএফ-এর সমৃদ্ধি কর্মসূচির ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং একটি মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় এ কর্মসূচির অবদান গুরত্বের সাথে তুলে ধরেন।
প্রধান অতিথি আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, প্রথাগত ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের বদলে একটি সামষ্টিক প্রচেষ্টা সমৃদ্ধি কর্মসূচির প্রধান বৈশিষ্ট্য। তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়নের অভীষ্ট অর্জনের লক্ষ্যে কাউকে বাদ দিয়ে নয়, সকলকে অন্তর্ভুক্ত করে উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করতে হবে। শুধু আর্থিক কর্মকান্ড ও সেবা নয় বরং দারিদ্র্য নিরসনে বহুমুখী উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ধারণ ও বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। দারিদ্র্য নিরসনের জন্য আয়বর্ধনমূলক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি স্বাস্থ্য, শিক্ষা, প্রশিক্ষণসহ নানাবিধ অনুষঙ্গকে একত্রিত করে একটি সমন্বিত উন্নয়নের লক্ষ্যে পরিচালিত সমৃদ্ধি কর্মসূচির প্রশংসা করেন সাবেক অর্থমন্ত্রী।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি মহাহিসাবনিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোঃ মুসলিম চৌধুরী বলেন, সমৃদ্ধি কর্মসূচি এক বিশাল কর্মযজ্ঞ। এর সফলতা মুগ্ধ হবার মতো। তিনি সহযোগী সংস্থাসমূহের আরো সক্ষমতা বৃদ্ধির সুপারিশ করেন।
সেমিনারের সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ পিকেএসএফ-এর সমৃদ্ধি কর্মসূচির বিভিন্ন দিক ও বৈচিত্র্য নিয়ে আলোকপাত করেন। তিনি জানান, এ পর্যন্ত ১২ দশমিক ৬১ লাখ পরিবারের প্রায় ৫৯ লাখ জনগোষ্ঠীকে এ কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে। সেমিনারে অংশগ্রহণ করার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন।
আরকে//
আরও পড়ুন