টেকসই উন্নয়ন ও কর্মক্ষম জনশক্তি
প্রকাশিত : ১৩:২৮, ১৯ মার্চ ২০১৯
বর্তমানে বাংলাদেশে ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। কোনো দেশে যদি ৬০ শতাংশের বেশি মানুষ কর্মক্ষম থাকে, তাহলে সে দেশকে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের মধ্যে ধরা হয়।
বাংলাদেশ এখন ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড বা জনসংখ্যাতাত্ত্বিক বোনাসকালের সুবিধা ভোগ করছে। আর একটি দেশের জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি যখন শ্রমশক্তিতে পরিণত হয়, তখন সেটি নিশ্চয়ই বোঝা হতে পারে না। বিশ্বের উন্নত দেশগুলো যখন কর্মক্ষম জনসংখ্যার অভাবে ভুগছে, তখন বাংলাদেশের জন্য সম্ভাবনার দরজা খুলে গেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এ সুযোগ গ্রহণ করে এরই মধ্যে সমৃদ্ধ হয়েছে।
ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড বলতে বোঝায়- কোনো একটি দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি জনসংখ্যার শ্রমশক্তিতে পরিণত হওয়া। অর্থাৎ ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড হল, একটি দেশের ১৫ থেকে ৬৫ বছর বয়স্ক কর্মক্ষম জনশক্তি যখন কর্মে অক্ষম জনশক্তির চেয়ে বেশি থাকে।
যেসব দেশ তাদের ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড কাজে লাগিয়ে আজ সফল ও উন্নত দেশে পরিণত হয়েছে, তাদের গৃহীত পলিসি বা ব্যবস্থাগুলো আমরা অনুসরণ করতে পারি। উদাহরণ হিসেবে সাম্প্রতিক বিশ্ব অর্থনীতিতে আলোড়ন সৃষ্টিকারী দেশ চীনের কথা উল্লেখ করা যেতে পারে।
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ চীন অনেক দিন পর্যন্ত বিশ্ব অর্থনীতিতে পিছিয়ে ছিল। আশির দশক থেকে তাদের সেখানে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড অবস্থার সৃৃৃষ্টি হয়। এ সুবিধা কাজে লাগিয়ে চীন তার বিপুলসংখ্যক জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করেছে।
বর্তমানে তারা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। ২০৫০ সালের মধ্যে চীন অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেও অতিক্রম করে যাবে বলে অর্থনীতিবিদরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন।
জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপি) প্রদত্ত সংজ্ঞা অনুযায়ী, যখন কোনো দেশের কর্মক্ষমহীন মানুষের চেয়ে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা বেশি থাকে এবং সেটা যখন অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখে, তখনই তাকে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড বলা হয়। এখানে কর্মক্ষম মানুষের নির্ধারক হচ্ছে, তাদের বয়স অর্থাৎ ১৫ থেকে ৬৪, আর কর্মক্ষমহীন মানুষ বলতে বোঝায় ১৪-এর নিচের এবং ৬৫-এর বেশি বয়সের মানুষকে।
জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ এখন তরুণ জনগোষ্ঠীর রাষ্ট্র। এ অঞ্চলের ৪৫টি দেশের জনসংখ্যাভিত্তিক তথ্য বিশ্লেষণ করে সংস্থাটি বলছে, বাংলাদেশ তাদের মধ্যে সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অর্থনীতির নিযুত সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে- এ দেশের কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা ১০ কোটি ৫৬ লাখ, যা মোট জনসংখ্যার ৬৬ শতাংশ। ২০৩০ সালে দেশে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা আরও বেড়ে দাঁড়াবে ১২ কোটি ৯৮ লাখে।
আর ২০৫০ সাল নাগাদ এ সংখ্যা ১৩ কোটি ৬০ লাখে উন্নীত হবে। ইউএনডিপির মতে, এ পরিস্থিতি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বড় সুযোগ এনে দিয়েছে। বাংলাদেশও এ সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে জিডিপির প্রবৃদ্ধিসহ অর্থনৈতিকভাবে বহুদূর এগিয়ে যাবে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হবে।
শুধু যে কর্মক্ষম মানুষের দিক দিয়ে বাংলাদেশ সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে, তাই নয়; বেশি বয়সী অর্থাৎ নির্ভরশীল মানুষের হারও চীন-জাপানের তুলনায় অর্ধেক। বর্তমানে বাংলাদেশে ৬০ বছরের বেশি বয়সী মানুষের (নির্ভরশীল) সংখ্যা মোট জনসংখ্যার মাত্র ৭ শতাংশ, যা চীন ও জাপানসহ যে কোনো উন্নত দেশের চেয়েও সুবিধাজনক অবস্থানে রেখেছে বাংলাদেশকে।
বিভিন্ন জরিপ ও গবেষণা অনুযায়ী, ১৫ বছর পর যখন বয়স্ক মানুষের ভারে কর্মক্ষমতা হারাবে চীন, জাপান, সিঙ্গাপুর ও কোরিয়া; এমনকি ইউরোপ-আমেরিকার মতো উৎপাদনমুখী দেশগুলো, তখন বাংলাদেশে ৬০ বছরের বেশি বয়সী মানুষের সংখ্যা দাঁড়াবে ১২ শতাংশে। ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের প্রাপ্ত সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে বিনিয়োগ আর উৎপাদনে উল্লিখিত দেশগুলোকে ‘টেক্কা’ দেবে বাংলাদেশ।
থাইল্যান্ড, ভারত, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন সময় ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডে প্রবেশ করেছে। অনেকেই এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করেছে। ভারত তথ্যপ্রযুক্তিতে বিপুল জনশক্তির কর্মসংস্থান নিশ্চিত করেছে। বিশ্ব শ্রমবাজারে কোন কোন বিষয়ে শ্রমিকদের চাহিদা আছে, সেটি যাচাই করে মানবসম্পদ তৈরি করেছে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত।
এ ক্ষেত্রে চীন ও ভারতের পলিসি থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি। বিশ্বব্যাংকসহ আন্তর্জাতিক গবেষণা বলছে, ২০৪২ সালের দিকে বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সুযোগ হারাবে। এরপর থেকে এ দেশে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা কমতে থাকবে। ২০৩২ থেকে ২০৩৩ সালের মধ্যে মোট জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ প্রবীণ হয়ে যাবে।
ফলে তাদের কর্মক্ষমতা কমে যাবে। সে অবস্থায় জাতীয় উন্নয়নের জন্য কর্মক্ষম মানুষের অভাব পরিলক্ষিত হবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, বিশ্ব অর্থনীতিতে পরাশক্তির দেশ জাপানের কথা। বিগত ৪৪ বছর ধরে জাপান বিশ্ব অর্থনীতিতে দ্বিতীয় পরাশক্তির অবস্থান ধরে রেখেছিল।
এটা সম্ভব হয়েছিল, কারণ দেশটি এতদিন ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড অবস্থার মধ্য দিয়ে পরিচালিত হচ্ছিল। কিন্তু কয়েক বছর আগে জাপান তার দীর্ঘদিনের অর্থনৈতিক প্রাধান্য হারিয়ে তৃতীয় স্থানে নেমে গেছে। জাপানে এখন কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা কমে গেছে। সেখানে প্রবীণ এবং কর্ম সম্পাদনে অক্ষম মানুষের সংখ্যা বেড়ে গেছে।
একটি জাতির জীবনে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড অবস্থা একবারই আসে। ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড অবস্থা সাধারণত ৩০ বছর স্থায়ী হয়। আবার অনেকেই মনে করেন, এ অবস্থা হাজার বছরে একবার আসে। যারা এ সুযোগ কাজে লাগাতে পারে, তারা বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে।
কিন্তু ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সুফল কাজে লাগাতে ব্যর্থ হলে সে জাতি কখনই সত্যিকার উন্নতি অর্জন করতে পারে না। বাংলাদেশ বর্তমানে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড অবস্থার মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে। বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের ২৬তম অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হতে যাচ্ছে।
বর্তমানে বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান ৪২তম। বিভিন্ন সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে তো বটেই; ভারতকেও অতিক্রম করে গেছে। বিশ্বে বর্তমানে যে দশটি দেশ উচ্চমাত্রায় জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করে চলেছে, বাংলাদেশ তার মধ্যে অন্যতম। এরই মধ্যে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
জাতিসংঘের তিনটি আবশ্যকীয় শর্ত পূরণ করে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এ অবস্থা ধরে রাখতে পারলে ২০২৪ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে চূড়ান্ত স্বীকৃতি লাভ করবে। এসব অর্থনৈতিক অর্জন সম্ভব হয়েছে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের কারণে।
ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে না পারলে এ সুযোগ একপর্যায়ে বিপর্যয় হয়ে দেখা দেবে দেশের জন্য। নির্ভরশীল জনগোষ্ঠী বেড়ে যাবে, কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী কমে যাবে, খরচ বাড়বে, সঞ্চয় কমবে এবং বয়স্ক লোকের সংখ্যা বাড়বে।
ফলে কমসংখ্যক লোক উপার্জন করবে আর অধিক লোক তাদের উপার্জনের ওপর নির্ভরশীল থাকবে। তাই উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সুফল গ্রহণের বিকল্প নেই। ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সুফল কাজে লাগাতে আমাদের এখন দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হাতে নিতে হবে।
প্রথমত ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড অবস্থার সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য প্রশিক্ষিত ও দক্ষ কর্মশক্তির বিকল্প নেই। বিপুল জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করার জন্য সবার আগে যা দরকার তা হল, সবার জন্য কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা চালু করা। কারণ আমাদের দেশের বিদ্যমান শিক্ষাব্যবস্থা বেকারত্ব ঘোচাতে পারছে না।
শিক্ষা খাতে শুধু বরাদ্দ বাড়ালেই হবে না, কর্মমুখী শিক্ষার প্রতি জোর দিতে হবে। বিশেষ করে আইটি ও কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্ববাজারের চাহিদার ভিত্তিতে বাংলাদেশে বিপুল কর্মক্ষম মানুষকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
তাদের কোন ধরনের শ্রমশক্তি প্রয়োজন তা জানতে হবে। তাদের চাহিদা বুঝে শ্রমিকদের প্রস্তুত করতে হবে। শুধু প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করলে হবে না। বিশ্ব শ্রমবাজারে টিকে থাকার জন্য দক্ষ লোক তৈরি করতে হবে। বিশ্ব অর্থনীতিতে পরাশক্তির দেশ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে বিশ্ব অর্থনীতিতে পরাশক্তির দেশ জাপান ‘জব মার্কেট অরিয়েন্টেড’ শিক্ষার ওপর জোর দেয়। এমনকি বর্তমান উদীয়মান শক্তি ভারতও এখন কারিগরি শিক্ষার দিকে যাচ্ছে। এ অবস্থায় আমরা বন্ধুপ্রতিম দেশ জাপান ও ভারতের গৃহীত পলিসি বা ব্যবস্থাগুলো আমরা অনুসরণ করতে পারি।
আন্তর্জাতিক শ্রমসংস্থা আইএলও’র তথ্যমতে, বর্তমানে বাংলাদেশে বেকারের সংখ্যা প্রায় তিন কোটি। বেকারত্বের এ ধারা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশে দু-এক বছরের মধ্যে মোট বেকারের সংখ্যা ছয় কোটিতে পৌঁছবে। তাই দেশে কর্মমুখী শিক্ষার প্রসারের মাধ্যমে বিপুলসংখ্যক বেকার জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগ সরকারকেই নিতে হবে। কারণ একটি জাতির শ্রেষ্ঠ সম্পদ হচ্ছে তার জনসংখ্যা। জনসংখ্যা এমনই এক উপকরণ, যা পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করা গেলে জাতির শ্রেষ্ঠ সম্পদে পরিণত হয়। আবার অপরিকল্পিতভাবে বৃদ্ধি পেলে বা ব্যবহার করতে না পারলে তা জাতির জন্য দুর্ভোগের কারণ হতে পারে। তাই বর্তমানে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ ও শিল্পায়নের মাধ্যমে নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির কোনো বিকল্প নেই।
দ্বিতীয়ত, বর্তমানে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয়ের খাত প্রবাসীদের আয়। দেশের বাইরে প্রায় এক কোটির মতো প্রবাসী আছেন। সম্প্রতি দেখা গেছে, তাদের আয় ১৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। বিপরীতে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত মাত্র ১ কোটি ৩০ লাখের মতো জনগোষ্ঠী পাঠিয়ে ৬৮ বিলিয়ন ডলার আয় করছে। একমাত্র অদক্ষতার কারণেই আমরা তাদের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারছি না। সরকার উদ্যোগ নিয়ে এদের দক্ষ করতে পারলে আমাদের প্রবাসী আয় আরও তিন গুণ বৃদ্ধি পাবে; সেই সঙ্গে বিদেশের শ্রমবাজারে আমাদের শ্রমিকদের চাহিদাও বাড়বে।
তৃতীয়ত, আমাদের দেশের অর্থনীতির পারদ হচ্ছে তৈরি পোশাক খাত। এ খাতে ৪০ লাখেরও বেশি নারী পোশাককর্মী কাজ করছে। তাদের আয় ১৭ বিলিয়ন ডলারের মতো। আমাদের তৈরি পোশাক খাতে ম্যানেজারিয়াল ও টেকনিক্যাল বিভাগে ২ লাখ বিদেশি নাগরিক কাজ করছেন। তাদের আয় ৭ বিলিয়ন ডলার।
অথচ সরকারি হিসাবমতে, বর্তমানে দেশের ৮৫ লাখের বেশি শ্রমিক বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ করছেন। তাদের পাঠানো রেমিটেন্স ১৪ বিলিয়ন ডলারের মতো। যেখানে আমাদের ৮৫ লাখ জনশক্তি বিদেশে হাড়ভাঙা শ্রম দিয়ে আয় করছেন ১৪ বিলিয়ন ডলার, সেখানে ২ লাখ বিদেশি আমাদের দেশ থেকে নিয়ে যাচ্ছে ৭ বিলিয়ন ডলার।
ফলে আমরা যে পরিমাণ রেমিটেন্স আনি, তা আবার দিয়ে দিতে হয়। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সরকারকে অবশ্যই পরিকল্পিতভাবে দক্ষ জনশক্তি তৈরির কাজে হাত দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশ এখন ‘উন্নয়ন সীমায়’ আছে; কাজেই মোটা দাগের সুফল পেতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে এখনই।
মুনতাকিম আশরাফ : ভাইস প্রেসিডেন্ট, এফবিসিসিআই
এসএ/
** লেখার মতামত লেখকের। একুশে টেলিভিশনের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে।