ট্রানজিট সেন্টারে পাঠানো ৮০ শতাংশেরও বেশি আফগানের রয়েছে বৈধ কাগজ
প্রকাশিত : ২৩:২৭, ১৫ নভেম্বর ২০২৩
ট্রানজিট সেন্টারে পাঠানো ৮০ শতাংশেরও বেশি আফগান নাগরিকের কাছে কোনো না কোনো ধরনের পরিচয়পত্র রয়েছে। তাদের বেশিরভাগই স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন করতে ইচ্ছুক নয়। তাই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে তাদের মৌলিক তথ্য রেকর্ড করার পরে তাদের থাকার অনুমতি দেওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই। তাছাড়া আফগান নাগরিকদের পরিচয়পত্র যাচাই করার কোনও ব্যবস্থা ছিল না কর্মকর্তাদের কাছে।
একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সিন্ধুর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় থেকে এসএসপিদের (সিনিয়র সুপারিনডেন্ট অব পুলিশ) নির্দেশ জারি করতে বলেছে যাতে এসএইচওদের (স্টেশন হাউস অফিসার) এই ধরনের ব্যক্তিদের কেন্দ্রগুলিতে না পাঠায়। এতে তাদের নথি যাচাইয়ের কারণে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বিলম্ব হচ্ছে।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে যে এসএইচওরা (পুলিশ) আফগানদের এসিসি, পিওআর এবং এমনকি সিএনআইসি বাজেয়াপ্ত করছে এবং তাদের নির্বাসনের জন্য কেন্দ্রগুলিতে পাঠাচ্ছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রথম পর্যায়ে কেবল 'সম্পূর্ণ অনিবন্ধিত' এবং 'নথিভুক্ত কিন্তু যেতে ইচ্ছুক' আফগানদের প্রত্যাবাসনের কথা ছিল।
সূত্রের খবরে বলছে, করাচির কমিশনার অবৈধ বিদেশিদের প্রত্যাবাসনে নাদরা’র (ন্যাশনাল ডাটাবেজ এন্ড রেজিট্রেশন অথোরিটি) কারিগরি সহায়তার বিষয়ে তত্ত্বাবধায়ক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে একটি বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তের বিষয়ে একটি চিঠির মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র সচিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, নাদরা প্রতিটি জেলায় অবৈধ বিদেশীদের তথ্য যাচাইয়ে প্রযুক্তিগত সহায়তা করবে।
বিভাগীয় সদর দফতরে পিওআর এবং এসিসি যাচাইয়ের জন্য নাদরা (ন্যাশনাল ডাটাবেজ এন্ড রেজিট্রেশন অথোরিটি) ড্যাশবোর্ড কাজ করছে না। এর ফলে বিলম্ব হচ্ছে এবং করাচি বিভাগ জুড়ে অবৈধ বিদেশিদের সরিয়ে নেওয়ার গতিকে প্রভাবিত করছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার আরও ১৮০ জনেরও বেশি 'অবৈধ' আফগানকে তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য চমন সীমান্তে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া ৩৩ জন নারী ও ৭৯ জন শিশুসহ ১৮২ জন অবৈধ বিদেশিকে বেলুচিস্তানে পাঠানো হয়েছে।
নাদরা সাপোর্ট এবং পর্যাপ্ত সংখ্যক ভেরিফিকেশন ডিভাইস (আইভিএএস) থাকায় ডিসি এবং এসএসপিদের অনুসন্ধান ও চিরুনি অভিযান বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন