ট্রাম্পের বন্দি মুক্তির ঘোষণা: একদিকে উল্লাস, অন্যদিকে ক্ষোভ
প্রকাশিত : ১০:৫৭, ২১ জানুয়ারি ২০২৫ | আপডেট: ১০:৫৮, ২১ জানুয়ারি ২০২৫
২০২১ সালের ছয়ই জানুয়ারির ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় যুক্ত থাকার অভিযোগে আটক হওয়া প্রায় ১৫০০ রিপাবলিকান সমর্থককে ক্ষমা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও এটি পরিষ্কার নয় যে এই ক্ষমা কতদূর পর্যন্ত যাবে এবং দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদেরকেও এই ক্ষমার অন্তর্ভুক্ত করা হবে কীনা।
তবে তার এমন সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করেছেন ন্যান্সি পেলোসি, যিনি দাঙ্গার সময় ডেমোক্র্যাটিক হাউস স্পিকার ছিলেন। তিনি এই ক্ষমাকে ‘অসাধারণ অবমাননা’ বলে অভিহিত করেছেন।
এদিকে সোমবার (২০ জানুয়ারি) ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের দিনের প্রায় পুরোটা সময় তার সমর্থকরা ডিসি জেলের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন। সেসময় উপস্থিত জনতার মধ্য থেকে আনন্দধ্বনি শোনা যায়। একজন নারী চিৎকার করে বলছিলেন, 'ফ্রিডম!' বা (স্বাধীনতা)।
এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন ক্যাপিটল ওয়ান অ্যারেনায় ভাষণ দিয়েছিলেন, তখন তিনি ঘোষণা করেন যে ওভাল হাউজে পৌঁছেই তিনি ৬ জানুয়ারির ঘটনার জন্য অভিযুক্তদের ক্ষমা করবেন। তিনি ক্যাপিটল হিল আক্রমণের জন্য জেলবন্দি ব্যক্তিদেরকে ‘রাজনৈতিক বন্দি’ হিসাবে ঘোষণা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ট্রাম্প তার উদ্বোধনী ভাষণে বলেছেন, ‘আমেরিকার সোনালী যুগ এখনই শুরু হচ্ছে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠাতা এবং ঐক্য সৃষ্টিকারী।’
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল ভবনে কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে হামলা চালায় ট্রাম্প সমর্থকরা। কংগ্রেসের যৌথ ওই অধিবেশনে সেদিন জো বাইডেনকে আনুষ্ঠানিক ভাবে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তুতি চলছিল।
একপর্যায়ে ক্যাপিটল ভবনের নিরাপত্তা ব্যারিকেড ও মূল ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েন ট্রাম্প সমর্থকরা। হামলাকারীরা ভেতরে ঢুকে সিনেট হলে রীতিমতো তাণ্ডব চালায় তারা। ডোনাল্ড ট্রাম্পপন্থী বিক্ষোভকারীদের ওই হামলার ঘটনায় অন্তত পাঁচ জন নিহত হয়েছিলেন।
ডেমোক্র্যাটরা ওই হামলায় উস্কানি দেয়ার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসনের উদ্যোগ নিয়েছিলো। পরে সেনেটে দুই তৃতীয়াংশ ভোট না থাকায় মিস্টার ট্রাম্প শাস্তি থেকে রেহাই পেয়ে যান।
সূত্র: বিবিসি।
এসএস//
আরও পড়ুন