ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৯ অক্টোবর ২০২৪

ট্রাম্পের সমাবেশে যোগ দিলেন মেলানিয়া

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:১৩, ২৮ অক্টোবর ২০২৪

আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচার সভায় এক বন্দুকধারীর গুলিতে আহত হবার পর থেকেই আবারও দৃশ্যপটে হাজির তার স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প। খোলা চিঠিতে আমেরিকারবাসীর উদ্দেশে তিনি লিখেছিলেন, রাজনৈতিক মতাদর্শের মেরামত করা প্রয়োজন। ভালবাসার প্রতি আরও জোর দিতে হবে আমাদের।

পেনসিলভানিয়ার সেই সভায় গত জুলাইয়ে বন্দুকধারীর গুলিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প আহত হওয়ার পরে স্বামীর রাজনৈতিক লড়াইয়েও পাশে থাকার কথা ঘোষণা দিয়েছিলেন মেলানিয়া। সেই মতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে স্বামীর সঙ্গে মঞ্চে উঠে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রচারে শামিল হলেন মেলানিয়া। আমেরিকার ভোটারদের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে ভোট দিন।

রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ট্রাম্প রবিবার রাতে ম্যানহাটনের ম্যাডিসন স্কোয়্যারে প্রচারসভা করেন। সভায় ছিলেন ট্রাম্পের সমর্থক ধনকুবের ইলন মাস্ক। সভা শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরে টেসলার মালিক মাস্কই মঞ্চে নিয়ে আসেন মেলানিয়াকে। বক্তৃতায় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সরকারকে নিশানা করে মেলানিয়া বলেন, আমেরিকার অর্থনীতি ও জীবনযাত্রার পরিস্থিতি হতাশাজনক।

সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এবারের নির্বাচনী প্রচার সমাবেশে মেলানিয়ার দেওয়া প্রথম বক্তব্য এটি। তিনি আরও বলেন, চলুন, আমরা মার্কিন মহিমার ওপর ভিত্তি করে একটি অভিন্ন লক্ষ্য নিয়ে এক সঙ্গে পথচলা শুরু করি। আসুন, আমরা এ মুহূর্তটিকে আঁকড়ে ধরি এবং ভবিষ্যতের কথা ভেবে দেশ গড়ি। এমন ভবিষ্যৎ, যেটা আমাদের প্রাপ্য।

ট্রাম্পের প্রচার-প্রচারণা শুরু হওয়ার পর হাতে গোনা কয়েকটি অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছেন মেলানিয়া। তিনি রিপাবলিকানদের ন্যাশনাল কনভেনশনেও উপস্থিত ছিলেন, তবে কথা বলেননি। এর আগে গত জুলাইয়ে ট্রাম্পের ওপর হামলা হওয়ার পর মেলানিয়া তাঁর স্বামীকে সমর্থন জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন। সেপ্টেম্বরে নিজের বইয়ের প্রচার চালাতে ফক্স নিউজকে সাক্ষাৎকার দেন মেলানিয়া।

৫ নভেম্বর আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। অবশ্য তার আগেই শুরু হয়ে গেছে ব্যালট সংগ্রহ করে আগাম ভোটপর্ব। গত দু’মাসে প্রকাশিত অধিকাংশ জনমত জরিপে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ট্রাম্প তাঁর ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিসের চেয়ে পিছিয়ে ছিলেন। কিন্তু শেষবেলায় বিভিন্ন সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, দু’জনের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে চলেছে। ফলে নির্বাচনী ফলের নির্ণায়ক হয়ে উঠতে পারে সাত ‘সুইং স্টেট’।

এসএস//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি