ঠাকুরগাঁওয়ে ভরা বর্ষা মৌসুমে চলছে খড়া, বিপাকে কৃষক
প্রকাশিত : ১৪:৩৩, ১ আগস্ট ২০২৩
ঠাকুরগাঁওয়ে ভরা বর্ষা মৌসুমের আষাঢ় থেকে শ্রাবণের অর্ধেকদিন পেড়িয়ে গেলেও এখনও দেখা মিলেনি পর্যাপ্ত বৃষ্টির। অন্যান্য বছর এসময় মাঠঘাটে বৃষ্টির পানিতে শ্রোত বয়ে গেলেও এবার খড়া আবহাওয়ায় মাঠ ঘাটগুলো এখনও শুকনো। এতে আমন ধানের চারা রোপণ নিয়ে জেলার কৃষকেরা বিপাকে পড়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন। সমস্যা নিরসনে জেলার কৃষি অফিস দিচ্ছেন প্রয়োজনীয় পরামর্শ।
উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের জমি-জায়গা দক্ষিণাঞ্চলের তুলনায় অনেকটাই উঁচু হওয়ার কারণে বর্ষা মৌসুমে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হলে ফসলি জমিগুলোতে বেশি দিন পানি জমে থাকে না। এবার বৈশাখ থেকে শ্রাবণের মাঝামাঝি সময়েও তেমন বৃষ্টপাত না হওয়ায় খরা বিরাজ করছে।
পানির অভাবে এখনও অনেক জমি অনাবাদি রয়ে গেছে। যতটুকুতে আবাদ করা হয়েছে তার অধিকাংশ জমির পানি শুকিয়ে ফেটে যাচ্ছে। তারপরেও থেমে নেই কৃষকরা। পরবর্তীতে পর্যাপ্ত বৃষ্টি হবে এমন আশা নিয়ে শ্যালো পাম্পের মাধ্যমে সেচ দিয়ে আমনের চারা রোপণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
পানি ধরে রাখার জন্য জমির আইল সংস্কার, জমিতে চাষ, সেচ ও ধানের চারা রোপণ এবং ক্ষেতের পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলার কৃষকেরা।
কৃষকরা বলছেন, এবার রাসায়নিক সার ও বিষ-কিটনাশকসহ শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধির পাশাপাশি বৃষ্টি নির্ভর আমন আবাদের সময় পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় শ্যালো পাম্পে সেচ দিয়ে ধানের চারা রোপণ করায় খরচ দ্বিগুন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাছাড়াও বিদ্যুতের অসহনীয় লোডসেডিংয়ের কারণে সেচ ব্যবস্থা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
তাতে এবার আমান ধান উৎপাদন ও ফলনে অনিশ্চয়তায় ভুগচ্ছেন কৃষকরা।
খরা মোকাবেলায় সেচের জন্য এখন পর্যন্ত এক হাজার ৯০টি গভীর নলকূপ ও ১৬ হাজার ৭৫টি অগভীর নলকূপ, ৪২টি এলএলপি এবং ৬২টি সোলার সেচ পাম্প চালু করা হয়েছে উল্লেখ করে কৃষকদের আমন চাষে সকল প্রকার পরার্মশ দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান জেলার এ কৃষি কর্মকর্তা।
এবার জেলায় এক লাখ ৩৭ হাজার একশ’ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করে চার লাখ ৭৬ হাজার তিনশ’ ৩০ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ।
এএইচ
আরও পড়ুন