ঠিকাদারের গাফিলতি, ৫ বছরেও হয়নি সেতু নির্মাণ (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:১৭, ২০ নভেম্বর ২০২৩
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি আর সমন্বয়ের অভাবে ৫ বছরেও শেষ হয়নি কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট সেতুর কাজ। মেহেরপুরের বারাদী-গহরপুর সেতু নির্মাণ কাজ ধীরগতিতে দুর্ভোগে পড়েছে ২০ গ্রামের বাসিন্দারা।
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার দুধকুমার নদীর উপর সোনাহাট সেতুর কাজ ৫ বছরেও শেষ করতে পারেনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। এতে সোনাহাট স্থলবন্দর থেকে পণ্য আমদানি-রপ্তানি অনেকটাই বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। যাতাযাতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ৬ ইউনিয়নের কয়েক লাখ বাসিন্দাকে।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এমএম বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স ও ন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স যৌথভাবে সেতুটি নির্মাণ কাজ শুরু করে ২০১৯ সালের ২২ জুলাই। শেষ করা কথা ২০২১ সালের ২২ জানুয়ারি। কিন্তু তা আজও হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ব্রিজের কাজ কিছুদিন দেখি হচ্ছে, এরপর দেখি তারা আর নাই।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ বলছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দুটিকে দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
কুড়িগ্রাম সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম বলেন, “সর্বোপরি ২৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। কিছু জমি অধিগ্রহণের বিষয়টি রয়েছে।”
সেতু নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় বৃটিশ আমলে নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ রেলসেতু দিয়ে চলচল করছে যানবাহন।
রাজনীতিবিদ ও ঠিকাদার শাহজাহান আলী সোহাগ বলেন, “সবাইকে অনুরোধ করছি, যারা যে দায়িত্বে আছেন খুব দ্রুত সমাধান করুন। ব্রিজটা দৃশ্যমান দেখতে চাই।”
নতুন সেতুর অভাবে স্থলবন্দর দিয়ে আমদানী-রপ্তানী ব্যাহত হওয়ায় কাঙ্খিত রাজস্ব আদায় পূরণ হচ্ছে না।
সোনাহাট স্থলবন্দর রপ্তানীকারক রাবিউল ইসলাম বলেন, “সেতু সচিব বলেছিলেন ১ বছরের মধ্যে সেতুর কাজ করবেন। কিন্তু অদ্যাবধি সেতুর ৩০ শতাংশও কাজ হয়নি।”
এদিকে, মেহেরপুর বারাদী-গহরপুর সড়কে ৬০ মিটার দীর্ঘ এই সেতুটির নির্মাণ কাজ হওয়ার নির্ধারিত সময় ছিল এবছরের ১৩ জুন। কিন্তু এখনও কাজ শেষ হয়নি।
বাধ্য হয়েই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে এখানকার বাসিন্দাদের।
স্থানীয়রা জানান, তিনটি গ্রাম ঘুরে আসতে হয়, ১শ’ টাকার ভাড়া ৫শ’ দিতে হচ্ছে। অনেক ছাত্রছাত্রী ভয়ে স্কুলে যেতে চায়না।
এলজিআরডি বলছে, সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ করতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে শেষবারের মত সময় বেধে দেয়া হয়েছে।
মেহেরপুর এলজিইডি উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ এমদাদুল হক বলেন, “আমরা ঠিকাদারকে আল্টিমেটাম দিয়েছি, তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করার জন্য।”
দ্রুত সেতু দুটির নির্মাণ কাজ শেষ করে চলাচল উপযোগি করার দাবি স্থানীয়দের।
এএইচ
আরও পড়ুন