ডাকসু নির্বাচন চান সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা
প্রকাশিত : ১৯:২১, ৪ এপ্রিল ২০১৭
শিক্ষার্থীদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি ভবিষ্যতের যোগ্য নেতৃত্ব তৈরি করতে দ্রুত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসু নির্বাচন চান সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা। নির্বাচিত প্রতিনিধি থাকা জরুরী বলে মনে করেন সাবেক ও বর্তমান ছাত্রনেতারাও। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখায় যেমন গতি আসবে, তেমনি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে আসবে বলেও মনে করেন তারা।
বাংলার ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণ অভ্যুত্থান, স্বাধীনতা সংগ্রামে ছাত্র-ছাত্রীদের ভুমিকা সব সময় বীরত্বের। ১৯২১ সালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই নেতৃত্ব এসেছে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ডাকসু থেকে। স্বাধীন বাংলাদেশেও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সামনের কাতারে ছিলেন ডাকসু প্রতিনিধিরা।
প্রতিবছরই নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও দেশ স্বাধীনের পর ভোট হয়েছে মাত্র ছয়বার। সবশেষ ১৯৯০ সালে নির্বাচনের পর আর নির্বাচিত প্রতিনিধি পাননি শিক্ষার্থীরা। ছাত্র সংগঠনগুলোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে উদ্যোগ নেওয়া হলেও নানা কারণে নির্বাচন হয়নি।
সম্প্রতি সমাবর্তনে গিয়ে দুই যুগের বেশি সময় ধরে আটকে থাকা নির্বাচন নিয়ে কথা বলেণ বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
নির্বাচনের ব্যর্থতা ও নিস্ক্রিয়তা নিয়ে এরইমধ্যে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। সাধারণ শিক্ষার্থীরাও মনে করেন, তাদের অধিকার আদায়ের প্রশ্নে নির্বাচিত প্রতিনিধি থাকা জরুরী। ডাকসু নির্বাচন না হওয়ায় পিছিয়ে যাচ্ছেন তারা।
ছাত্র সংগঠন গুলোর নেতারাও চান নির্বাচন। তবে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে শান্তিপূর্ন সহাবস্তান চান কেউ কেউ।
ডাকসুর সাবেক নেতারা মনে করেন, নির্বাচনের মাধ্যমে যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে উঠা রাজনীতির জন্য জরুরী।
তবে উচ্চ আদালতের রুল থাকায় এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
আরও পড়ুন