ডায়াবেটিস হলে যে ৬টি ফল কম খাবেন
প্রকাশিত : ১৩:৫৮, ৪ ডিসেম্বর ২০২১
জীবনে একবার ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হলে তা থেকে মুক্তির উপায় নেই। এটি একটি দীর্ঘ মেয়াদী রোগ। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের সুস্থ থাকতে মেনে চলতে হয় অনেক কিছু। বিশেষ করে পছন্দের তালিকা থেকে বাদ পড়ে যায় অনেক খাবার। এই রোগে নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল সঠিক সময়ে সঠিক খাদ্য পরিমাণ মতো গ্রহণ করা।
ফল মাত্রই উপকার, তা সত্য। তবে কিছু ফলে রয়েছে উচ্চমাত্রায় সুগার, যা খেলে ক্ষতি হয় ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীর।
কোন কোন ফল থেকে দূরে থাকতে হবে ডায়াবেটিস রোগীদের–
আনারস
আনারস খেতে অনেকেই খুব ভালোবাসেন, কিন্তু এই আনারসে থাকে উচ্চ পরিমাণে চিনি। যা ডায়াবেটিস রোগীরা অতিরিক্ত খেলে ব্লাড সুগার লেভেলের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই আনারস বেশি না খাওয়াই ভাল।
আম
আম খেতে কে না ভালোবাসেন। চোখের সামনে আম থাকলে কি তার লোভ সামলাতে কেউ পারে! তবে ভাগ্য খারাপ হলে কি করার, আমে চিনির পরিমাণ বেশি থাকে। ১০০ গ্রাম আমে প্রায় ১৪ গ্রাম চিনি থাকে, যা রক্তে শর্করার ভারসাম্যকে আরও খারাপ করতে পারে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের এই ফল এড়িয়ে চলাই ভাল।
কলা
কলার পুষ্টিগুণ অনেক। প্রায় সকলেরই খুব পছন্দের ফল এটি। তবে কলাতে কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকে এবং কার্বোহাইড্রেট রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে এই ফলটি খুব একটা উপকারি নয়। তবে মাঝেমধ্যে এক-আধটা কলা খাওয়া যেতেই পারে। কলায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে। তবে কলায় কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই) থাকে।
তরমুজ
তরমুজে ফাইবার এবং ক্যালোরি কম থাকে। এতে জিআই ভ্যালু হল ৭২ এবং হাফ কাপ তরমুজে প্রায় পাঁচ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকতে পারে। তাই তরমুজ ডায়াবেটিস রোগীদের বেশি না খাওয়াই ভাল।
আঙুর
আঙুরে ফাইবার, ভিটামিন এবং অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান থাকলেও, এতে শর্করার পরিমাণও বেশ ভাল থাকে। ৮৫ গ্রাম আঙুরে প্রায় ১৫ গ্রাম পর্যন্ত কার্বোহাইড্রেট থাকতে পারে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের এটি এড়িয়ে চলাই ভাল।
সবেদা
প্রতি ১০০ গ্রাম সবেদায় প্রায় ৭ গ্রাম শর্করা থাকতে পারে এবং এর জিআই ভ্যালু হল ৫৫। এতে কার্বোহাইড্রেট এবং শর্করাও উচ্চ পরিমাণে থাকে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি ক্ষতিকারক হতে পারে।
আরএমএ/এসএ/