‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেস্বাধীনতা খর্ব হবে’

সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যে খসড়া অনুমোদন করেছে, তাতে মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, অতীতে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে খর্ব করা হয়েছিল,  এ আইনের মাধ্যমে তা আবারো করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রস্তাবিত ওই আইন নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

মোশাররফ বলেন, মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পাওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খসড়া আইসিটি আইনের ৫৭ ধারার চেয়েও ভয়ঙ্কর। তিনি বলেন, যে যে কাজের কারণে ৫৭ ধারায় অভিযুক্ত করা যেত, সেসব কাজকে এই আইনে সম্প্রসারিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা মনে করি, এ আইন সংবাদপত্র এবং মুক্তমনের ব্যক্তিদের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে খর্ব করার জন্য করা হয়েছে। আমরা মন্ত্রিসভায় এই আইনের খসড়া অনুমোদনের প্রতিবাদ জানাই।

প্রসঙ্গত, এ আইনটি পাস হলে- হ্যাকিং, ডিজিটাল মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বা জাতির পিতার বিরুদ্ধে অপপ্রচার, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিপন্ন করতে কম্পিউটার বা ইন্টারনেট নেটওয়ার্কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, ডিজিটাল উপায়ে গুপ্তচরবৃত্তির মত অপরাধে ১৪ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি এক কোটি টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেওয়া যাবে।

এদিকে মঙ্গলবার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস হলে মানুষের বাক স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বলে কিছুই থাকবে না। ৫৭ ধারার মত এ আইনেও সাংবাদিকরা হয়রানির শিকার হবেন।

এসময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, আসাদুল করীম শাহিন, তাইফুল ইসলাম টিপু ও মুনির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

/ আর / এআর