ডিজিটাল রূপান্তরকে গতিশীল করতে ব্যবসার পরিধি বাড়াচ্ছে সিসকো
প্রকাশিত : ১৭:০৫, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০
ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপান্তরকে গতিশীল করার প্রতিশ্রুতি ও প্রচেষ্টা বাড়িয়েছে বহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি সিসকো। একই সঙ্গে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন, বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় স্থান করে নেয়া এবং টেকসই উন্নতি নিশ্চিত করতে ডিজিটাইজেশনকে আরও অর্থবহ করতে চায় প্রতিষ্ঠানটি। এ লক্ষ্যে সিসকো বাংলাদেশে নিজেদের কর্মীসংখ্যা এবং অফিস পরিধি দ্বিগুণ করেছে।
আজ বুধবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয়া হয়। সিসকো’র সার্ক এবং বাংলাদেশী কর্মকর্তারা জানান, কর্মীসংখ্যা এবং অফিস পরিধি দ্বিগুণ করার মাধ্যমে এ অঞ্চলে সিসকোর অপারেশন বাড়ানো হচ্ছে। আর পৃথক একটি ডিপো খোলা হয়েছে বাংলাদেশী গ্রাহকদের আরও ভালো সেবা দেয়ার জন্য। এর মাধ্যমে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সিসকোর শক্তিশালী ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অবস্থানের নবায়ন হলো।
বাংলাদেশ ইতোমধ্যে প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগণকে মোবাইল ইন্টারনেট ও ব্যাংকিংয়ে সংযুক্ত করার পথে অনেকখানি এগিয়েছে। ১০ কোটিরও বেশি মানুষকে ডিজিটাল এনআইডি দিচ্ছে। ইন্টারনেট ব্যবহার, অনলাইন লেনদেন এবং ই-কমার্স বাড়ছে। এগুলো জ্ঞানভিত্তিক কর্মী এবং ডিজিটাল উদ্যোক্তাদের জন্য দেশে ও বিদেশে বড় পথ খুলে দিয়েছে।
বাংলাদেশে ডিজিটাইজেশন ব্যবসায় সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি এবং উদ্যোক্তা-কর্মীদের বৈশ্বিক গ্রাহকদের সঙ্গে সংযুক্ত করতে সিসকোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। সুনির্দিষ্টভাবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের (এসএমই) জন্য নিরাপদ, সহজ ও চৌকস এবং বিশ্বমানের প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং বাজারে ছাড়া হয়েছে। এ প্রযুক্তিগুলো এসএমই উদ্যোক্তাদের পরিচালন, প্রক্রিয়াজাত ও সেবা প্রদানের সময় ও ব্যয় কমিয়েছে। বাড়িয়ে দিয়েছে কর্মীদের কর্মক্ষমতা।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস’র (বেসিস) তথ্যমতে, ২০১৮ সালে বাংলাদেশ আইসিটি পণ্য রপ্তানি করে এক বিলিয়ন ডলার আয় করেছে। ২০২১ সাল নাগাদ এটি ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে। এ পরিবর্তনের সহযোগী হিসেবে সিসকো দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ১৫টি নেটওয়ার্কিং একাডেমি চালু করেছে। এগুলোতে ইতোমধ্যে ৩৮ হাজার শিক্ষার্থী প্রশিক্ষণ নিয়েছে। ২০২০ সাল নাগাদ এটি ৫০ হাজারে দাঁড়াবে।
সিসকো সার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুধীর নায়ার বলেন, জাপান ও চীন এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে দ্রুত ডিজিটালাইজড হওয়া দেশগুলোর মধ্যে একটি বাংলাদেশ। ইন্টারনেট প্রবেশগম্যতা, মোবাইল ব্যবহার বৃদ্ধি এবং স্মার্টফোনের নানা ধরণের ব্যবহার, ডেটা ও নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ভেঙ্গে দিচ্ছে ভৌগলিক বাজার ব্যবস্থা। ডিজিটাল অর্থনীতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। দুই দশক ধরে সিসকো বাংলাদেশে কাজ করছে। এ পরিবর্তনের সাক্ষী ও সঙ্গী হিসেবে আমরা গর্বিত।
তিনি আরও বলেন, আইসিটি খাতের উন্নয়নে সরকারের নিরন্তর প্রচেষ্টা দেখিয়ে দিচ্ছে জনগণের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রযুক্তি কীভাবে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। এখন এই অর্জনের সুযোগ নিয়ে ডিজিটাল অগ্রগতিকে দ্বিগুণ করার উপযুক্ত সময়। সকল নাগরিকের কাছে ডিজিটাইজেশনের সুবিধা পৌঁছে দিতে সরকার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা এবং অংশীজনদের সঙ্গে কাজ করতে সিসকো প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরকে/