ডিজিটাল সড়কে এনালগ টোল
প্রকাশিত : ১৩:০১, ২৩ জানুয়ারি ২০২১
ঢাকা মাওয়া এক্সপ্রেস ওয়ের দৈর্ঘ প্রায় ৩০ কিলোমিটার। যা চালুর পর সর্বসাধারণের কাছে দৃস্টিনন্দন একটি প্রকল্প হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে। নিরবিচ্ছিন্ন যান চলাচলে এক্সপ্রেস ওয়ের প্রতিটি ক্রসিং এ নির্মাণ করা হয়েছে ফ্লাই ওভার এবং মাঝে অবস্থিত ধলেশ্বরী নদীতে নির্মিত হয়েছে নয়নাভিরাম জোড়া সেতু।
ঢাকা-মাওয়া চমৎকার এই এক্সপ্রেস ওয়ের ৩০ কিলোমিটার সড়ক পথ গাড়ি চালিয়ে অতি সহজেই পাড়ি দেয়া যায় মাত্র ২০ থেকে ৩০ মিনিটে। তবে এই এক্সপ্রেস ওয়ের পথে পথে ধীরগামী টোল আদায় ব্যবস্থা এই সময়কে করেছে প্রায় তিনগুন দীর্ঘায়িত।
গত শুক্রবার এই এক্সপ্রেস ওয়ে ধরে মাওয়া থেকে যারা ঢাকায় ফিরেছেন তারা সম্ভুক গতির টোলের কবলে পড়ে ৩০ মিনিটের পথ পাড়ি দিয়েছেন ১ ঘন্টা ৩০ মিনিটে।
যাত্রা পথে ধলেশ্বরী ব্রিজ, পোস্তগোলা ব্রিজ এবং হানিফ ফ্লাই ওভারের ৩টি টোল প্লাজায় যানবাহনগুলো আটকে ছিলো অন্তত ২০ মিনিট করে সর্বমোট ৬০ মিনিট।
এই ধীরগতির টোল আদায় পদ্ধতি ঢাকা-মাওয়া ডিজিটাল এক্সপ্রেস ওয়ের দ্রুত গতিকে নামিয়ে এনেছে এনালগ গতিতে।
পদ্মা সেতু চালু হবার আগেই তাই বিষয়টির প্রতি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দৃস্টি দেওয়া অপরিহার্য। না হলে এক্সপ্রেস ওয়ের সুফল থেকে বঞ্চিত হবেন দেশবাসী।
** লেখার মতামত লেখকের। একুশে টেলিভিশনের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে।