ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

ডুয়েটে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস পালিত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:৪৪, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

‘স্মার্ট গ্রন্থাগার/ স্মার্ট বাংলাদেশ’-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উপলক্ষ্যে রোববার বিকেলে(৫ ফেব্রুয়ারি) দিবসটির শুভ উদ্বোধন ঘোষণার মধ্য দিয়ে আলোচনা সভা শুরু হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান। বক্তব্যের শুরুতে তিনি মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলনের মাস ফেব্রুয়ারি জাতির জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, বাঙালি জাতিসত্তার বিকাশে যে সংগ্রামের সূচনা হয়েছিলো তার ভিত্তি ছিলো ভাষা আন্দোলন। 

অনুষ্ঠানে গ্রন্থাগারের তাৎপর্য তুলে ধরে উপাচার্য বলেন, বই মানুষের প্রকৃত বন্ধু। বই মানুষের কল্পনাশক্তি জাগ্রত করার মাধ্যমে জ্ঞানের পরিধি বাড়ায়। কোনো একটি জাতিকে উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যেতে এবং ইতিহাস, বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার সম্পর্কে জানার জন্য জ্ঞানচর্চার বিকল্প নেই। আর এই জ্ঞানচর্চার আধার হলো গ্রন্থাগার। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষা ব্যবস্থায় লাইব্রেরির গুরুত্ব অপরিসীম। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার কারণে গ্রন্থাগারের সেবাদান কার্যক্রম উন্নত থেকে উন্নততর হয়েছে। কেননা, দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের সঙ্গে মানসিক ও চিন্তাশক্তির উন্নয়ন খুবই জরুরি। তিনি সমৃদ্ধ এসব গ্রন্থাগারকে আরো সমৃদ্ধ করে গড়ে তোলার পাশাপাশি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ছড়িয়ে দিতে সবাইকে আহবান জানান।

সারাদেশের গ্রন্থাগারগুলোকে ডিজিটাল ও প্রযুক্তি নির্ভর করে গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করায় তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি শিক্ষা ও গবেষণায় উৎকর্ষ সাধনের মাধ্যমে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ার জন্য সবাইকে বেশি বেশি বই পড়ার আহবান জানান। এক্ষেত্রে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর লেখা বইগুলো পড়ার প্রতি বেশি গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়া তিনি ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও তাঁদের পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাসহ জাতীয় চার নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান।

লাইব্রেরি ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আকরামুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুর রউফ, পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. হিমাংশু ভৌমিক এবং স্বাগত বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির লাইব্রেরিয়ান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. সাহাব উদ্দিন। অনুষ্ঠানে লাইব্রেরির বর্তমান ও ভবিষ্যৎ কার্যক্রম তুলে ধরা হয়। 

ডেপুটি লাইব্রেরিয়ান মো. আবু আউয়াল সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক, রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব), অফিস প্রধান এবং শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। 
কেআই//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি