ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড কাজে লাগাতে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই
প্রকাশিত : ২০:০২, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ১৮:৩৬, ৪ মার্চ ২০২০
তরুণরাই রাষ্ট্রের প্রাণশক্তি। তাদের যত বেশি কাজে লাগানো যাবে দেশ তত বেশি অগ্রসর হবে। পৃথিবীর বহু দেশ এই তরুণদের কাজে লাগিয়ে উন্নত রাষ্ট্রের কাতারে পৌঁছে গেছে। বর্তমানে বাংলাদেশে ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। কোনো দেশে যদি ৬০ শতাংশের বেশি মানুষ কর্মক্ষম থাকে তাহলে সে দেশকে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড এর মধ্যে ধরা হয়।
ইউএনডিপির তথ্য মতে বর্তমানে বাংলাদেশে ৬৬ শতাংশ মানুষ কর্মক্ষম। অর্থাৎ বাংলাদেশ এখন ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড বা জনসংখ্যাতাত্ত্বিক বোনাসকালের সুবিধা ভোগ করছে (১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সের জনসংখ্যার অধিক্য)।বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এ সুযোগ গ্রহণ করে ইতোমধ্যে সমৃদ্ধ হয়েছে। বাংলাদেশও এ সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে জিডিপির প্রবৃদ্ধিসহ অর্থনৈতিকভাবে বহু দূর এগিয়ে যাবে।
এসব কর্মক্ষম মানুষকে কাজে লাগাতে প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা। যদি সঠিকভাবে মাস্টারপ্ল্যান করে প্রতিটি সেক্টর নিয়ে চিন্তা করে এলাকা ভিত্তিক দক্ষ লোক গড়ে তোলা যায়, কারিগরি শিক্ষার প্রসার করা যায়, হাতে কলমে শিক্ষার মাধ্যমে বিপুল জনসংখ্যাকে মানবসম্পদে পরিণত করা যায় তবেই দেশ সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাবে। এমনটাই মনে করেন ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোম ইঞ্জিনিয়ার্স অব বাংলাদেশ-আইডিইবির সভাপতি এ কে এম এ হামিদ।
সম্প্রতি একুশে টিভি অনলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট কিভাবে কাজে লাগালে দেশ সমৃদ্ধ হবে এবং এক্ষেত্রে কারিগরি শিক্ষা কি ধরণের ভুমিকা রাখতে পারে সে সম্পর্কে বিস্তারিত কথা বলেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আউয়াল চৌধুরী।
ইটিভি অনলাইন: বর্তমানে আমরা ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড (জনসংখ্যাতাত্ত্বিক বোনাসকাল) এ রয়েছি। এই সুযোগকে কিভাবে কাজে লাগাতে পারি?
এ কে এম এ হামিদ: হ্যাঁ, এটি আমাদের দেশের জন্য একটি বিরাট সুযোগ। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারলে অবশ্যই দেশ সমৃদ্ধ হয়ে যাবে। এখন কথা হলো আমরা কিভাবে এটাকে কাজে লাগাবো। ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট অর্জনের জন্য কারিগরি শিক্ষার বিকল্প হতে পারে না। টেকনোলজিক্যাল জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে যদি দেশের জনগন দক্ষ হয়ে ওঠে তাহলেই এই বোনাসকাল আমাদের জন্য সমৃদ্ধির পথ বয়ে আনবে। এ জন্য প্রথমে আমাদের যেটা করতে হবে সেটা হলো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা।
ইটিভি অনলাইন: কি ধরণের পরিকল্পনা আমরা নিতে পারি?
এ কে এম এ হামিদ: ২০১৪ সালে আমরা পরিপূর্ণরুপে জনসংখ্যাতাত্ত্বিক বোনাসকালে প্রবেশ করেছি। এখন থেকেই এটিকে কাজে লাগাতে হবে। জনসংখ্যার বোনাসকাল এর সঠিক ব্যবহার করে বিশ্বের অনেক দেশ এগিয়ে গেছে। আমাদের পক্ষেও সেটা সম্ভব। এক্ষেত্রে দু’ধরণের পরিকল্পনা আমরা গ্রহণ করতে পারি। একটি হলো দেশে অন্যটি বিদেশে। আমাদের দেশের যেসব লোক বিদেশে যেতে চায় তাদের জন্য দূতাবাসগুলো ভালো ভুমিকা রাখতে পারে। পৃথিবীর কোন দেশে কত লোক লাগবে এটা তারা করতে পারে। আর সে আলোকে প্রশিক্ষণ দিয়ে যদি দক্ষ লোক পাঠানো যায় তাহলে বেশি পরিমাণে অর্থ আমাদের দেশে আসবে। দেশ সমৃদ্ধ হবে। আর দেশের জন্য দক্ষ লোক তৈরির একটি মাস্টারপ্ল্যান প্রয়োজন। এখন অবস্থা এমন হয়েছে আমাদের দেশের বিভিন্ন কোম্পানীর ম্যানেজেরিয়াল পোষ্টের জন্য বিদেশ থেকে লোক আনতে হচ্ছে। এটার কারণ দক্ষতার অভাব। অনেক শিক্ষিত মানুষ আছে কিন্তু তারা দক্ষ না। তাই আমরা যদি পরিকল্পিত উপায়ে ভাগ ভাগ করে সেক্টরওয়াইজ চিন্তা করি, সেভাবে ট্যাকনিক্যাল প্রশিক্ষন দেওয়া হয় তাহলে আমরা খুব দ্রুত এর সুফল পাবো। এর জন্য প্রয়োজন শিক্ষা ব্যবস্থারও আমূল পরিবর্তন।
ইটিভি অনলাইন: শিক্ষা ব্যবস্থায় কি ধরণের পরিবর্তন আনা যেতে পারে?
এ কে এম এ হামিদ: ব্যাপক পরিবর্তন প্রয়োজন। আমাদের দেশে যে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে সেটা আসলে কোনো শিক্ষাই না। আমাদের প্রয়োজন স্কিলড শিক্ষা। দক্ষতা + শিক্ষা হলে সেটি হবে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আর আমাদের দেশের শিক্ষা হলো শুধু মাত্র অ আ ক খ নির্ভর। দক্ষতা ছাড়া কোনো শিক্ষা হলে সেটা কোনো শিক্ষাই না। সারাপৃথিবীতে স্কীলড শর্টেজ আছে প্রায় ৪২ শতাংশ। আর আমাদের দেশেতো এর পরিমাণ খুবই ভয়াবহ। তাই ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট অর্জনের জন্য সব কিছু নির্ভর করছে স্কিলড শিক্ষার ওপর। এই শিক্ষার মাধ্যমে জনশক্তিকে সেভাবে গড়ে তুলতে হবে। ছোটবেলা থেকেই যদি একটি শিশু তার সঠিক গাইড লাইনটা পেয়ে যায় তাহলে সে একটা সময়ে তার লক্ষ্য পৌঁছাতে পারবে। এখন আমাদের দেশে স্কুল কলেজগুলোতে কোনো ধরণের কারিগরি বা হাতে কলমে শিক্ষার ব্যবস্থা নেই। শুরু থেকেই একজন মানুষ যদি এই শিক্ষায় গড়ে উঠে তাহলে সে দেশের জন্য বোঝা হবে না বরং সম্পদে পরিণত হবে। তাই আমরা চাচ্ছি দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে। মূলস্রোত ধারার শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে কারিগরি শিক্ষাকে অর্ন্তভূক্ত করতে। সে জন্য চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছি।
ইটিভি অনলাইন: ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড অর্জনে এই অর্ন্তভূক্তি কি কোনো কাজে আসবে?
এ কে এম এ হামিদ: অবশ্যই আসবে। আমরা যদি আমাদের ছেলে মেয়েদের হাতে কলমে শিক্ষার মাধ্যমে গড়ে তুলি তাহলে দেশে কোনো বেকার থাকবে না। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে দেশ উন্নততর পর্যায়ে পৌঁছে যাবে। সবাই যে ডাক্তার বা ইন্জিনিয়ার হবে তা কিন্তু নয়। স্কুল লেভেল থেকেই যদি একটি শিশু হাতে কলমে শিক্ষার জ্ঞান পেয়ে যায় তাহলে সে সহজে তার লক্ষ্যটাও নির্ধারণ করে ফেলতে পারে। টেকনিক্যাল জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তোলার সুযোগ পাবে। সে জন্য আমরা বলেছি একেবারে প্রথম শ্রেণী থেকে কারিগরি শিক্ষা অর্ন্তভূক্ত করা হোক। স্কুলে একজন বা দুজন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হোক। তারা ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে কলমে শিক্ষা দিয়ে দেবে। এর মাধ্যমে দেশে দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরি হবে। আমাদের দেশে শিক্ষিত অনেক লোক আছেন কিন্তু দক্ষ লোকের অভাব। আর কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমেই একজন মানুষ দক্ষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।
ইটিভি অনলাইন: উন্নত দেশগুলো এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে অনেক দূর এগিয়ে গেছে, আমরা এই মুহূর্তে কি করতে পারি?
এ কে এম এ হামিদ: অনেক দেশ এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সমৃদ্ধ হয়ে গেছে। আমি আগেই বলেছি এ জন্য আমাদের প্রয়োজন একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা। আমাদের চিন্তা করতে হবে বিদেশে কতজন লোক যাবে। দেশে কতজনের কর্মসংস্থান হবে। যেমন আমি কয়দিন আগে আরব আমিরাত গিয়েছিলাম। ওইখানে আমাদের দেশের প্রায় দশ লক্ষ লোক কাজ করে। এখন খোঁজ নিয়ে দেখলাম এদের অধিকাংশই ঝাড়ু দেওয়া বা নরমাল কাজগুলো করে থাকে। প্রশিক্ষণের অভাবে তারা একেবারেই নিম্ন পর্যায়ের কাজগুলো করছে। আর ওই সকল দেশেরও আমাদের শ্রমিকদের প্রতি আগ্রহ বেশি। কম টাকায় তারা নিতে পারে। এখন এই লোকগুলো যদি প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত হতো বা দক্ষ হতো তাদের বেতন আরো অনেক বেশি হতো বা আরো ভালো চাকরি পেত। আর এর মাধ্যমে দেশ আরো বেশি টাকা পেত আরো সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেত। জাপান আজকে কোন পর্যায়ে চলে গেছে। কারণ তারা স্কিলড এর প্রতি বেশি জোর দিয়েছিল। দেশের প্রত্যেকটি নাগরিককে তারা সেভাবে গড়ে তুলেছিল।
ইটিভি অনলাইন: শুধুমাত্র স্কিলড হলেই কি সমস্যা সমাধা হয়ে যাবে? কিভাবে আমরা জাপানের মতো দক্ষতা অর্জন করতে পারি?
এ কে এম এ হামিদ: স্কিলড এর কোনো বিকল্প থাকতে পারে না। জাপান জার্মানীকে ফলো করে তারা এই পর্যায়ে চলে এসেছে। তাদের দেশের নাগরিকদের স্কীলড করে পরিকল্পিতভাবে তারা গড়ে তুলেছে। এখন আমাদের দেশের ক্ষেত্রেও পরিকল্পিত উপায়ে কাজ করতে হবে। যেমন আমাদের দেশের জনসংখ্যা যদি ১৮ কোটি হয় আমরা ধরলাম এর মধ্যে ৬ কোটি কর্মক্ষম মানুষ রয়েছে। এখন আমরা হিসেব করি বিদেশে কতজন লোক যাবে আর দেশে কতজন থাকবে। এক্ষেত্রে ৪ কোটি লোক যদি বিদেশে যায় আর তিন কোটি দেশে থাকে। তাহলে তাদেরকে সে আলোকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। যারা বিদেশে যেতে ইচ্ছুক তাদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থার মাধ্যমে পাঠালে সেখানে তারা অবশ্যই ভালো করবে। সো ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট অর্জনে কর্মক্ষম লোকজনকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। তাহলেই দ্রুত আমরা উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছে যেতে পারবো।
যেমন আমাদের পাশবর্তী দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর পরই ঘোষণা দেন স্কিলড এর ওপর। প্রত্যেক নাগরিককে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। সে আলোকে তাদের বহু কর্মসংস্থান ইতিমধ্যে হয়ে গেছে। আমাদের দেশে ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণার পর মানুষ কিন্তু সেটা গ্রহণ করেছে। তেমনি স্কিলড এর ওপর জোর দিতে হবে। দক্ষতার কোনো বিকল্প হতে পারে না। দক্ষতা অর্জন করতে পারলে জাপানকে ছাড়িয়ে যাওয়াও আমাদের পক্ষে সম্ভব।
ইটিভি অনলাইন: তৃণমূল পর্যায়ে কিভাবে দক্ষ লোক গড়ে তোলা যায় বলে আপনি মনে করেন?
এ কে এম এ হামিদ: আমি মনে করি দেশের প্রত্যেকটি এলাকায় দক্ষ লোক গড়ে তুলতে হবে। যেমন কোনো অঞ্চলে ধান বেশি হয়। এখন সেখানে কৃষির ওপর যদি লোকজন দক্ষভাবে স্কুল কলেজ থেকে শিক্ষা নিয়ে গড়ে ওঠে তাহলে পরবর্তীতে তারাই সেখানে চাকরি করবে। কোনো অঞ্চলে বিল্ডিং বেশি হচ্ছে এখন সে এলাকায় সিভিল ইন্জিনিয়ারিং এর ব্যবস্থা থাকবে। এভাবে অঞ্চল ভিত্তিক প্রয়োজনের আলোকে দক্ষ লোক গড়ে তুলতে পারলে দেশের অবস্থা পাল্টে যাবে। পড়াশোনা শেষ করে নিজ নিজ এলাকায় কাজ শুরু করবে। এভাবে দেশের প্রতিটি অঞ্চলে পরিকল্পিতভাবে যদি এলাকার ওপর নির্ভর করে স্কিলড শিক্ষার প্রচলন করা যায় তাহলে খুব দ্রততার সঙ্গে দেশ এগিয়ে যাবে। উন্নত হতে বেশি সময় লাগবে না। তাই আমরা সব সময় দাবি করে আসছি স্কুল লেভেল থেকে স্কীলড শিক্ষার প্রচলন করার। এখন অসংখ্যা শিক্ষিত লোক বের হচ্ছে কিন্তু তারা বেকার। কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা দিনকে দিন বাড়ছে। কিন্তু দক্ষ লোক বাড়ছে না। তাই সরকারি বেসরকারি সবাইকে পরিকল্পিতভাবে এর জন্য কাজ করতে হবে।
ইটিভি অনলাইন: কারিগরি শিক্ষা মূল স্রোতধারার শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত হতে বাধা কোথায় বলে আপনি মনে করেন?
এ কে এম এ হামিদ: আমরা দীর্ঘদিন থেকে চেষ্টা করছি টেকনিক্যাল শিক্ষাকে মূল শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত করতে। যাতে এর মাধ্যমে প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রী দক্ষ হয়ে গড়ে উঠে। এখন এর বাধা সম্পর্কে যদি বলতে যাই তাহলে বলতে হয় যারা আমাদের গরীব বানিয়ে রাখতে চায় তারাই আমাদের সন্তানদের টেকনোলজির জ্ঞান দিতে চায় না। পাশ্চাত্যের ক্ষমতাবান দেশগুলো চায় না আমাদের সন্তানরা টেকনোলজির জ্ঞান অর্জন করুক। তারাই প্রধান বাধা। বিজ্ঞান-প্রযুক্তির জ্ঞান যদি ছড়িয়ে পড়ে এতে আমাদের দেশ দ্রুত উন্নতির পথে চলে যাবে। আর এটাতো তারা চায় না। তারা আমাদেরকে জ্ঞান বিজ্ঞান সব দিক থেকে তাদের মুখাপেক্ষি করে রাখতে চায়। নানাভাবেই আমরা বাধার সম্মুখিন। এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছি। সবার সঙ্গে বলছি। চেষ্টা করছি কারিগরি শিক্ষাকে মূল শিক্ষার সঙ্গে অর্ন্তভূক্ত করতে। এতে কেউ যদি মনে করে সে টেকনিক্যাল বিষয়ে পড়াশোনা করবে না। তাহলেতো কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু স্কুলে সে যে জ্ঞানটুকু পাবে তা দিয়ে অন্তত দৈনন্দিন কাজগুলো করতে পারবে। একটা ফ্যান যদি লাগনোর প্রয়োজন হয় তাহলে সেটা সে লাগাতে পারবে। সুতরাং কারিগরি শিক্ষা আমাদের জীবনের জন্য খুবই প্রয়োজন।
এবার বলি ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট নিয়ে। এই যে ছোটবেলা থেকেই একটি শিশু প্রযুক্তির জ্ঞান আহরণের মাধ্যমে বড় হচ্ছে, সে কিন্তু নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তুলছে। এভাবে যদি দক্ষ জাতি গড়ে ওঠে তাহলে অর্থনৈতকি সমৃদ্ধি কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। এখন থেকে যদি টার্গেট করা হয় তাহলে ২০৩৪ সালের মধ্যে আমরা সমৃদ্ধ একটা দেশে পরিণত হতে পারবো। এ জন্য আমি মনে করি জনগনকে অধিক পরিমাণে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। সে জন্য কারিগরি শিক্ষার বিকল্প হতে পারেনা। কারিগরি জ্ঞান অর্জন করে কেউ বেকার থাকে না। এভাবে সবাই যদি হাতে কলমে শিক্ষার দিকে ঝুঁকে তাহলে জনসংখ্যার বোনাসকাল আমরা সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারবো।
ইটিভি অনলাইন: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
এ কে এম এ হামিদ: ইটিভি অনলাইকেও অসংখ্যা ধন্যবাদ।
এসি/
আরও পড়ুন