ঢাকা, শনিবার   ০১ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

ড. তৌফিকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার: একটি পরিকল্পিত চক্রান্ত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:০৯, ১ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

সম্প্রতি কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি)  দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু রেজা মো. তৌফিকুল ইসলামের যৌথভাবে প্রকাশিত সাতটি গবেষণা প্রবন্ধ আন্তর্জাতিক জার্নাল Science of the Total Environment থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে খবর ভাইরাল হয়েছে। তবে ইতিমধ্যেই এর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। 

এদিকে এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং তার সুনাম ক্ষুণ্ণ করার একটি চক্রান্ত বলে উল্লেখ করেছেন ড. তৌফিক।

তিনি বলেন, আমি আমার জীবনের অধিকাংশ সময় গবেষণা ও শিক্ষার উন্নয়নে ব্যয় করেছি। বাংলাদেশের গবেষণাকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত করতে নিরলস পরিশ্রম করেছি। এরই স্বীকৃতি হিসেবে আমি বিশ্বের শীর্ষ ২% বিজ্ঞানীদের তালিকায় জায়গা পেয়েছি। আমার এই সাফল্য কিছু মহল মেনে নিতে পারছে না, তাই তারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, "আমি শুধুমাত্র এসব গবেষণা প্রবন্ধের কো-অথর ছিলাম, প্রধান লেখক নই। যদি প্রকাশনার ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম হয়ে থাকে, তবে সেটির জন্য দায়ী সংশ্লিষ্ট জার্নালের সম্পাদকীয় বোর্ড ও করেসপন্ডিং অথর। এই প্রক্রিয়ায় আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।

ড. তৌফিকের বিরুদ্ধে প্রচারিত এসব অভিযোগের কোনো প্রমাণ নেই বলে তার সহকর্মী ও শিক্ষার্থীরা দাবি করেছেন। তারা বলেন, ড. তৌফিক একজন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ গবেষক ও শ্রদ্ধেয় শিক্ষাবিদ। তার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত ও দুরভিসন্ধিমূলক।

অপপ্রচারের বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়ে ড. তৌফিক বলেন, আমি সবসময় গবেষণার স্বচ্ছতা ও নৈতিকতাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছি। আমার সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।

তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, এই অপপ্রচারের পেছনের ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হোক, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের মিথ্যা প্রচারণা চালানোর দুঃসাহস না দেখায়।

এসএস//
 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি