ড. কামাল শয়তানের সঙ্গেও হাত মেলানোর কথা বলেছিলেন: সেলিম
প্রকাশিত : ১৮:০৩, ১ অক্টোবর ২০১৮ | আপডেট: ১৮:১৪, ১ অক্টোবর ২০১৮
ফাইল ছবি
বি. চৌধুরী ও ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যের সমালোচনা করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন এর আগেও একই কথা বলেছিলেন। পরে অবশ্য মাঠ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এমনকি ২০০৬ সালেও হাওয়া ভবনের অপকর্মের বিরুদ্ধে তিনি সোচ্চার ছিলেন। এজন্য আওয়ামী লীগের সঙ্গে এবং দরকার হলে শয়তানের সঙ্গেও হাত মেলানোর কথাও বলেছিলেন তিনি। কিন্তু তারপরে তা আর সম্ভব হয়ে উঠেনি।
আজ সোমবার সকালে রাজধানীর পল্টনের মুক্তিভবনে ‘দ্বিদলীয় মেরুকরণের বাইরে বাম-গণতান্ত্রিক বিকল্প গড়ে তোলো’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, নির্বাচন সামনে রেখে বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্ট, গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন ও বিএনপিসহ ‘বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য’ নামে একটি জোট গড়ার প্রক্রিয়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা হচ্ছে।
সিপিবি সভাপতি বলেন, তাঁরা শুধু অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য দাবি উত্থাপন করেননি। তাঁরা বিএনপির সঙ্গে জোট প্রক্রিয়াকে অগ্রসর করেছেন।
মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতাদের শুধু টেবিলে বসে দাবি উত্থাপন না করে রাজপথে নেমে আন্দোলন করার জন্য বলেন। তিনি বলেন, ‘তাঁরা যেসব দাবি করেছেন, আমি আশা করবো, এই দাবিতে তাঁরা রাজপথে নামবেন। প্রেস ক্লাব থেকে শহীদ মিনার যাওয়ার পথে দুই ফুট এগিয়ে আবার ফিরে আসবেন না।’
সিপিবি আওয়ামী লীগ বা বিএনপির সঙ্গে কোনো মেরুকরণে যাবে না বলে জানান দলটির সভাপতি। তিনি বলেন, এক দুঃশাসন শেষ হলে আরেক দুঃশাসন এসে পড়ে। তিন দশক ধরে আমরা এই অবস্থায় আছি। এই দুঃশাসনের দুষ্টুচক্র ভাঙতে হবে।
সেলিম বলেন, পরিস্থিতি বুঝে তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে এখন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে তাঁরা আন্দোলন করবেন। প্রয়োজন হলে তাঁরা নির্বাচন বয়কট করতে পারেন, আবার অংশও নিতে পারেন। অংশ নিলে বামজোট ও প্রগতিশীল ব্যক্তিদের সঙ্গে নিয়ে তাঁরা ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম। সেখানে উল্লেখ করা হয়, সরকার ২০১৪ সালের মতো আরও একটি এক তরফা নির্বাচনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করছে। তফসিল ঘোষণার আগে সরকারকে পদত্যাগ করে আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তদারকি সরকার গঠনের দাবিও জানানো হয়। এ ছাড়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮–এর সমালোচনা করে বলা হয়, মানুষের কথা বলার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
কেআই/ এআর
আরও পড়ুন