ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

ঢাকা ফাঁকা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:২৩, ৮ জুলাই ২০২২

ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফিরছে রাজধানীবাসী। ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে ঢাকা। ব্যস্ত সড়কে নেই পরিবহণের চাপ।

রাজধানীর গাবতলী, ফার্মগেট, গুলিস্তান কিংবা সায়েদাবাদ সর্বত্রই একই দৃশ্য দেখা গেছে। কারওয়ান বাজার থেকে শাহবাগ হয়ে গুলিস্তান পর্যন্ত রাস্তায় যানজট খুব একটা লক্ষ্য করা যায়নি। তবে, গুলিস্তান, সায়দাবাদে ঘরমুখ মানুষের ভিড় রয়েছে। তবে ভোগান্তি নেই।

বৃহস্পতিবার গুলিস্তান, যাত্রাবাড়ী ও সায়েদাবাদের দিকে অনেক যানজট ছিল। তবে ফার্মগেট, শাহবাগ, প্রেসক্লাবের দিকে খুব একটা ভিড় ছিল না। ঢাকার ভেতর থেকে লোকজন এখন গ্রামে যাচ্ছে। ফলে, ঢাকার প্রবেশদ্বার বা বের হওয়ার স্থানগুলোতে এখন বেশি জট।

তবে, রাজধানীর মধ্যে অধিকাংশ বিপণিবিতান এলাকাগুলোতে বেড়েছে মানুষ ও গাড়ির চাপ। রাজধানীর নিউমার্কেট, এলিফ্যান্ট রোড ও পান্থপথ এলাকায় কেনাকাটার জন্য মানুষের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

সরেজমিনে রাজধানীর গাবতলী, কল্যাণপুর, গুলিস্তান ও যাত্রাবাড়ী এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঢাকা থেকে বিভিন্ন জেলার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া বাস কাউন্টার এলাকাগুলোতে বেশি যানজট ও মানুষ ঘোরাফেরা করছে। আবার ধানমণ্ডি, কলাবাগান, ফার্মগেট, আসাদগেট, শাহবাগসহ অনেক এলাকায় রাস্তায় খুব একটা ভিড় নেই। 

প্রিয়জনের সান্নিধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বৃহস্পতিবারই বেশি মানুষ বাড়ি ফিরেছেন। কারণ বৃহস্পতিবার ছিল ঈদপূর্ব শেষ কর্মদিবস। তাই সকালে অফিসে হাজিরা দিয়ে দুপুরেই অনেকে রওনা হন টার্মিনাল-স্টেশনের দিকে। তবে রাস্তায় নেমেই যানজটে পড়তে হয়েছে। শহরে গণপরিবহন সংকটও ছিল। বাস না পেয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা-প্রাইভেট কার বা রাইড শেয়ারিংয়ের সহায়তা নিয়েছেন যাত্রীরা। তবে অনেকেই এই ভোগান্তি এড়াতে শুক্রবার রওনা দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার যারা ট্রেনে গেছেন তারাও ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েন। বুধবার ট্রেনে স্বস্তির যাত্রা হলেও এ দিন ছিল দুর্ভোগময়। দেড় থেকে দুই ঘণ্টা দেরিতেও ট্রেন ছেড়েছে। কমলাপুরে টিকিটবিহীন যাত্রীরা ট্রেনের ছাদে উঠে পড়েন। তাদের নামাতে গিয়েও দেরি হয়। তা ছাড়া বিলম্বে আসার কারণে দেরিতে ছাড়ার ঘটনা তো আছেই।

কমলাপুর স্টেশন সূত্র বলছে, চিলাহাটিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে ছাড়ার কথা। প্ল্যাটফরমে আসামাত্রই অপেক্ষমাণ যাত্রীদের অনেকে ট্রেনটির ছাদে উঠে পড়েন। তাদের নামাতে গিয়ে ট্রেনটি ৯টা ২০ মিনিটে স্টেশন ছাড়ে। সকাল ৬টার রাজশাহীগামী ধূমকেতু কমলাপুর ছাড়ে ৮টা ১০ মিনিটে। সকাল ৯টা ১০ মিনিটের রংপুর এক্সপ্রেস ছাড়ে ১০টা ১০ মিনিটে। সুন্দরবন এক্সপ্রেস ৩০ মিনিট দেরি করে পৌনে ৯টায় স্টেশন ছাড়ে।

এছাড়া সদরঘাটে বৃহস্পতিবার সকালে ঘরমুখো মানুষের ভিড় কম ছিল। তবে দুপুরের পর থেকে যাত্রীদের চাপ বাড়তে থাকে। সন্ধ্যায় অন্তত ১০০টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। যদিও পদ্মা সেতু চালুর পর পূর্বের তুলোনায় কমে গেছে যাত্রীর চাপ। 

অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল সংস্থার ঢাকা নদীবন্দরের আহ্বায়ক ও এমভি ইয়াদ লঞ্চের মালিক মামুন আল রশিদ বলেন, “ঈদের ৩ থেকে ৪ দিন আগে থেকে টার্মিনালে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় থাকে। পদ্মা সেতুর কারণে এবার টার্মিনালে ভিন্ন চিত্র। টার্মিনালে যাত্রীদের তেমন চাপ নেই।”
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি