ঢাবিতে প্রাণের উচ্ছ্বাসে মিলন মেলা
প্রকাশিত : ১৩:০৯, ১০ মার্চ ২০১৯
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে গতকাল শনিবার ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে আনন্দে-উৎসবে মেতে ছিলেন প্রায় পাঁচ হাজার প্রাক্তন শিক্ষার্থী। উৎসবের নাম `অ্যালামনাই মিলন মেলা`।
মাঠের গেট খোলা হওয়ার আগেই অ্যালামনাই মিলন মেলায় নিবন্ধন করা প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের লাইন দীর্ঘ হতে শুরু করে। স্বেচ্ছাসেবীরা নিবন্ধন কার্ড দেখে সুশৃঙ্খলভাবে সবাইকে ভেতরে যেতে সহায়তা করেছিল।
অনুষ্ঠানে স্থানে স্থানে আড্ডা, বিভিন্ন ব্যাচে, বিভাগের শিক্ষার্থীরা ছোট ছোট দলেও এখানে-সেখানে বসে গেছেন। এর মধ্যে চলে সকালের নাশতাপর্ব।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা এবং ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পতাকা উত্তোলন করা হয়।সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনে অংশ নেন উপস্থিত সবাই।
জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি এক সময় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিও ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান। অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পতাকা উত্তোলন করেন সংগঠনের সভাপতি, বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমকাল প্রকাশক এ. কে. আজাদ। জাতীয় সঙ্গীতের সুরে সুরে ওঠে জাতীয় পতাকা। তারপর আকাশে উড়িয়ে দেওয়া হয় উৎসবের রঙিন বেলুন।
এরপর মিলন মেলা মঞ্চে শুরু হয় উদ্বোধনী আলোচনা অনুষ্ঠান। মঞ্চের সামনে বিশাল প্যান্ডেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক হাজার প্রাক্তন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, সমাজসেবী, সবাই সমাজে নিজ নিজ অবস্থান নিয়ে সুপ্রতিষ্ঠিত।
অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ. কে. আজাদের সভাপতিত্বে এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদারের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন সাবেক মন্ত্রী ও ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম প্রধান নায়ক তোফায়েল আহমেদ, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী, সাবেক সভাপতি রকিব উদ্দিন আহমেদ, এবারের মিলন মেলা আয়োজনের আহ্বায়ক ও অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওছার, মহাসচিব রঞ্জন কর্মকার, কমিটির সদস্য আনোয়ার উল আলম চৌধুরী ও আশরাফুল হক মুকুল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই যখন শুরু হয় তখনকার পরিস্থিতি আর আজকের পরিস্থিতি ভিন্ন। ১৯৪৯ সালে গৌরবময় এই সংগঠনের ঐতিহাসিক যাত্রা শুরুর ইতিহাস তুলে তিনি প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বিচারপতি ইব্রাহিমসহ সে সময় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদসহ অন্যদের অবদানের কথা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন