ঢাবিতে সঙ্গীত উৎসব শুরু
প্রকাশিত : ১৩:৪২, ২৮ জানুয়ারি ২০১৯ | আপডেট: ১৩:৪৫, ২৮ জানুয়ারি ২০১৯
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সঙ্গীত বিভাগের আয়োজনে দু`দিনব্যাপী সঙ্গীত উৎসব-২০১৮ শুরু হয়েছে। ‘সঙ্গীতের আলোয় মনের কালোকে দূর করা’র প্রত্যয়ে নিয়ে শুরু হলো এই উৎসব। রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) প্রাঙ্গণে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সঙ্গীত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক টুম্পা সমাদ্দর, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবু মো. দেলোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক নারায়ণ চন্দ্র শীল এবং ভারতীয় হাইকমিশনের ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারের পরিচালক ড. নীপা চৌধুরী।
আয়োজনে শুরুতেই সঙ্গীত বিভাগের শিক্ষার্থীরা সম্মিলিত কণ্ঠে পরিবেশন করেন `জয় হোক, শান্তির জয় হোক` এবং `মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি` গান দুটি। সম্মেলক সঙ্গীতের পরই প্রদীপ জ্বেলে উৎসবের উদ্বোধন করেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামানসহ অন্য অতিথিরা।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আখতারুজ্জামান বলেন, এ বছর আয়োজনে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। এমন উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে এ আয়োজন এবারই প্রথম। এ ছাড়া এবারের উৎসবে নতুন রঙ আছে, নতুন সুর আছে। উৎসব উৎসবের মতই হয়ে উঠেছে। শাস্ত্রীয় সঙ্গীত আদি ও অকৃত্রিম। আর এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে তা আরও ফলপ্রসূ হবে।
নিপা চৌধুরী বলেন, শাস্ত্রীয় সঙ্গীতকে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ অবদান আছে এবং তারা এ ক্ষেত্রে কাজ করে চলেছে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের আজকের যে সংযোগ, তা অনন্য। বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক নারায়ণ চন্দ্র শীল বলেন, সঙ্গীত বর্তমানে একটি দুঃসময় পার করছে।
রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুলসঙ্গীত, দেশাত্মবোধক গান, লোকগীতি, বাউল গানকে এখন ফিউশন করে সামনে আনা হচ্ছে। কিন্তু একটি সৃষ্টির মধ্যে অন্য একটি সুর বা অন্য একটি গান এনে করা ফিউশন গ্রহণযোগ্য নয়। একই সঙ্গে গানের বাণীরও অবক্ষয় হচ্ছে। এমন সময়ে এ উৎসব শুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
উদ্বোধন আলোচনা শেষে প্রিয়াঙ্কা গোপ ও স্বরূপ হোসেনের পরিচালনায় দুটি রাগ পরিবেশন করেন সঙ্গীত বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এরপর মঞ্চে আসেন অসিত দে, স্বর্ণময় চক্রবর্তী, মোহাম্মদ শোয়েব, ঋতুপর্ণা চক্রবর্তী এবং শ্রীলংকার ড. চিন্তাক প্রগীত মেড্ডেগোডা।
তারা কণ্ঠে নিবেদন করেন শুদ্ধ সঙ্গীতের বন্দনা। এসব আয়োজনে এস্রাজ পরিবেশন করেন অধ্যাপক শুভায়ু সেন মজুমদার আর সেতার পরিবেশন করেন ফিরোজ খান। সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়ে রাত পর্যন্ত চলে শুদ্ধ সঙ্গীতের এই আয়োজন।
আরও পড়ুন