ঢাবির শতবর্ষী পাঠ্যক্রম আধুনিক-কর্মমুখী করার দাবি (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:৪৫, ১৯ নভেম্বর ২০২২
যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষী বিভাগ আরবী, সংস্কৃত, পালি, ফারসি ও উর্দুর কারিকুলাম আধুনিকায়ন ও কর্মমুখী করার দাবি শিক্ষার্থীদের। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে অনেক বিভাগে পাঠ্যক্রমে পরিবর্তন আনা হয়েছে, সামনে আরও হবে। মান বাড়াতে কোনো কোনো বিভাগে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমানো-বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান তারা।
১৯২১ সালে ৩টি অনুষদ ও ১২টি বিভাগ নিয়ে শুরু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। শুরুতে শিক্ষার্থী ছিল ৮৭৭ জন। এখন ৩৭ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীর চাপ নিয়ন্ত্রণে কয়েকটি বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে আসন কমিয়ে ‘সক্ষমতা’ অনুযায়ী পুর্নবিন্যাসের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭ হাজারের জায়গায় শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয় ৬ হাজার।
উপ-উপাচার্য বলেন, বৈশ্বিক মানের শিক্ষা নিশ্চিত করতে এবং উচ্চশিক্ষাকে প্রয়োজন ও দক্ষতাভিত্তিক করতে এ উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, “আমরা যেমন শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমিয়েছি আবার কোনো কোনো বিষয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়িয়েছি। কারিকুলামের মধ্যে পরিবর্তন আনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সুপারিশ করা হয়েছে। যাতে করে কারিকুলাম যুগোপযোগী করা যায়।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও চান উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে জীবিকার তাগিদে তাদের পাঠ্যক্রম আরও আধুনিক ও মানসম্মত করার।
শিক্ষার্থীরা জানান, কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটিস একটু কম হয়। আধুনিকায়নের প্রযুক্তিগুলো সহজতর করতে হবে। বিভিন্ন কোর্স যদি সংযুক্ত করা হয় তাহলে পাঠ্যক্রম আরও উন্নতি হবে। এখানে ১শ’ মার্কের ইংরেজি পড়ানো হয়, যদি ৩শ’ মার্কের পড়নো হয় তাহলে একজন শিক্ষার্থী কলেজ লেবেলের টিচার হিসাবে নিজেকে প্রস্তুত করতে পারবেন “
সংস্কৃত, পালি, ফারসি ও উর্দু বিভাগের শিক্ষকরা জানান, শুরুর দিকে যে কারিকুলাম ছিল তাতে পরিবর্তন আসছে। এরইমধ্যে উপস্থাপনা তৈরিতে হাত দিয়েছেন শিক্ষকরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল কাদের বলেন, “তাদেরকে যুগোপযোগী শিক্ষা দেওয়ার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। সেই সাথে আরও শিক্ষা তো আছেই।
সহযোগী অধ্যাপক ড. সঞ্চিতা গুহ বলেন, “আমরা যে সিলেবাস কারিকুলামে এখন রয়েছি সেই কারিকুলামগুলোকে আরেকটু উন্নত করা যায় কিনা, আরেকটু যুগোপযোগী করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর উন্নয়ন করা সম্ভব কিনা সেই বিষয়গুলোতে আমরা কাজ করছি।
ঢাবির সুপারনিউমেরারি অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া বলেন, “আধুনিক জীবনের মধ্যে কিভাবে সমৃদ্ধ হতে পারি, খুব হালকা হালকা শব্দ দিয়ে আমার জীবন তৈরি করা হচ্ছে। হালকা জীবন দিয়ে যদি আমার জীবন তৈরি করা হয় ভারি জীবন তো কখনো আশা করা যাবেনা।
শীঘ্রিই একাডেমিক কাউন্সিলে দাখিল করা হবে আগামী শিক্ষাবর্ষের নতুন সিলেবাস।
এএইচ