ঢাবির শিক্ষার্থী পিটিয়ে বরখাস্ত হলেন ২ পুলিশ
প্রকাশিত : ১১:৩৬, ৩ মার্চ ২০১৯ | আপডেট: ১১:৩৯, ৩ মার্চ ২০১৯
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে সাময়িকভাবে বরখাস্ত হলেন শাহবাগ থানার দুই কনস্টেবল। শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এতথ্য নিশ্চিত করেছেন। বরখাস্ত হওয়া দুই পুলিশ সদস্য হলেন-কনস্টেবল সাইফুল্লাহ ও মামুন।
শনিবার (২ মার্চ) দিবাগত রাত ১ টায় শাহবাগ থানায় মারধরের শিকার তিন শিক্ষার্থীসহ ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে দুই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক এই ব্যবস্থা নেয় পুলিশ।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর এলাকায় সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জুয়েল রানা, গণিত বিভাগের কামরুল হাসান ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী খাজা ইরফানুল হকের ওপর দুই পুলিশ কনস্টেবল চড়াও হন। তারা বন্দুকের বাট দিয়ে ওই শিক্ষার্থীদের মারধর করেন। এতে একজন শিক্ষার্থীর মুখ দিয়ে রক্ত বের হয় এবং হাতে ক্ষত সৃষ্টি হয়। পরে এই ঘটনার বিচার চেয়ে কয়েক শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আহত শিক্ষার্থী জুয়েল রানা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি নীলক্ষেত থেকে বই কিনে দোয়েল চত্বর হয়ে হলে যাচ্ছিলাম। সেখানে এক ফুচকার দোকানের আবর্জনা রাস্তায় ফেলছিলো বলে আমি প্রতিবাদ জানাই। ফুচকাওয়ালার সাথে এ নিয়ে আমার কথা কাটাকাটি হয়। সেসময় কনস্টেবল সাইফুল্লাহ ওই দোকান থেকে চাঁদা নিচ্ছিলো। তখন এই কনস্টেবল এসে আমাকে ধাক্কা দেয়। এরপর আমার আরো তিন বন্ধু এসে প্রতিবাদ জানালে তিনি আমাদের বন্দুকের বাট দিয়ে পেটাতে থাকেন। এসময় পাশে দাঁড়ানো মামুন নামে এক কনস্টেবল ভিডিও করছিলো। কয়েকজন পুলিশ দাঁড়িয়ে দেখিছিল। আমার সবার কাছে হেল্প চাচ্ছিলাম। কেউই এই কনস্টেবলকে নিবৃত করেনি।
এ ঘটনা শুনে শহীদুল্লাহ হলের কয়েক’শ শিক্ষার্থী দোয়েল চত্বরে এসে অবস্থান নেয়। সেখানে রাস্তা অবরোধ করে তারা বিক্ষোভ দেখায়। পরে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন দোয়েল ঘটনাস্থলে যান ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।
উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা মারধরকারী পুলিশ সদস্যকে দোয়েল চত্বরে এনে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান। তবে পরিস্থিতি সামাল দিয়ে ছাত্রলীগ নেতারা আহত শিক্ষার্থীকে নিয়ে শাহবাগ থানায় আসেন। সেখানে অভিযুক্ত দুই কনস্টেবলকে পুলিশ প্রাথমিকভাবে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয়।
শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা আমরা পেয়েছি। তার জন্যে দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বিষয়টির তদন্ত করে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
টিআর/
আরও পড়ুন