ঢাবি ও পাবলিক লাইব্রেরীতে চলছে নীরব জ্ঞানচর্চা
প্রকাশিত : ১৬:১৬, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৯:২৪, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭
সামনে ৩৮তম বিসিএস। রয়েছে একাধিক ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষা। এসব পরীক্ষাকে সামনে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও পাবলিক লাইব্রেরীতে ছাত্র-ছাত্রীদের ভিড় বেড়েছে। যেন তিল ধারনের ঠাই নেই। সবাই নীরব জ্ঞানচর্চা করে যাচ্ছে। তাদের একটাই লক্ষ মর্যাদার একটি চাকরি । সরকারী চাকরিতে আগের তুলনায় বেতনসহ সুযোগ বাড়ায় ছাত্র-ছাত্রীরা মর্যাদার এ চাকরির দিকেই ঝুকছে। কেউ কেউ ব্যাংকের কর্পোরেট জীবনকে বেছে নিচ্ছে ক্যারিয়ার হিসেবে। এই লক্ষ্য সামনে রেখে সকাল ৮.০০ টার দিকে লাইব্রেরী খুললেও শিক্ষার্থীরা তার আগেই এসে লাইনে দাঁড়ায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরির সামনে শিক্ষার্থীদের লাইন
চাকরির পরীক্ষার মত গ্রন্থাগারের সিট পেতেও রীতিমত সংগ্রাম করতে হয় শিক্ষার্থীদের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার খোলার অনেক আগেই লম্বা লাইন পরে যায় গেটে। কোনো কোনো সময় এ লাইন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ পেরিয়ে মধুর কেন্টিন পর্যন্ত পার হয়ে যায়। লাইব্রেরিতে সিট পাওয়ার এই সংগ্রাম হাসি মুখে মেনে নিচেছ একটি চাকরি পাওয়ার আশায়। চাকরি নামের সোনার হরিন পেলে সব দু:খ-কষ্ট দূর হয়ে যাবে।
লাইব্রেরিতে বিসিএস পরীক্ষার্থীদের ভিড়।
গন্থাগারে ভিড় নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারিক (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড.এস এম জাবেদ আহমেদ একুশে টেলিভিশন অনলাইনকে বলেন, ছাত্র-ছাত্রীরা পরালেখার দিকে ঝুঁকছে, এটি সত্যিই প্রশংসনীয়। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে পড়ালেখার বিকল্প নেই। লাইব্রেরী যদি বন্ধ করা হয় এবং মানুষ যদি পড়ালেখা ছেড়ে দেয় তাহলে কোন জাতিই সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারবে না ।
বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মাষ্টার্সের ছাত্র মোহাম্মদ মিজান উদ্দিন বলেন, বিসিএস যেহেতু বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে সম্মানের চাকরি তাই পরীক্ষার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি। আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে ৩৮ তম বিসিএসের প্রিলিমিনারী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি ব্যাংকে যেহেতু পরীক্ষা রয়েছে সবমিলিয়ে সবকিছুর প্রস্তুতি নিতেই লাইব্রেরীতে আসা ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দর্শন বিভাগের ছাত্র শফিক আহমেদের কাছে লাইব্রেরীতে পড়তে আসার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন-রুমে পড়লে অলসতা চলে আসে। এছাড়া রুমে পড়ার পরিবেশ না থাকায় লাইব্রেরীতে আসি । এখানে অন্যদের পড়তে দেখলে আমারও পড়ার প্রতি আগ্রহ বেড়ে যায়।
নিয়মিত পাবলিক লাইব্রেরীতে পড়তে আসেন আনিসুর রহমান। তিনি ঢাকা কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে অনার্স ও মাষ্টার্স শেষ করেছেন । নারায়নগঞ্জ থাকেন পরিবারের সঙ্গে । কিন্তু পড়তে আসেন শাহবাগের পাবলিক লাইব্রেরীতে । এত দূর থেকে আসার কারণ জিজ্ঞাস করলে তিনি বলেন- আমার কিছু বন্ধু এখানে পড়তে আসে । আমিও তাদের সঙ্গে সঙ্গ দেই । অনেক সময় গ্রæপ স্টাডি করি । যেহেতু সামানে ৩৮ তম বিসিএস এবং বেশ কয়েকটি ব্যাংকের পরীক্ষা রয়েছে তাই নিজেকে আরোও বেশি প্রস্তুত করার জন্য লাইব্রেরীতে আসি।
/এম/এআর
আরও পড়ুন