ঢাকা, বুধবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

তদন্তে ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধ প্রমাণিত: জাতিসংঘ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:১৪, ১২ জুন ২০২৪

Ekushey Television Ltd.

ইসরায়েল ও হামাস উভয়ই গাজা যুদ্ধের প্রাথমিক পর্যায়ে যুদ্ধাপরাধ করেছে। জাতিসংঘের তদন্তে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে বুধবার সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসাবে গণ্য। কারণ ইসরায়েলি হামলায় ব্যাপক বেসামরিক প্রাণহানি ঘটেছে।

৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এর প্রতিক্রিয়ায় গাজায় পাল্টা হামলা চালায় ইসরায়েল। ইসরায়েলের ব্যাপক হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত ৩৭ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।

জাতিসংঘের তদন্ত কমিশন প্রকাশিত প্রতিবেদনে দুটি সমান্তরাল ফলাফল পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনে হামাসের হামলার উপর এবং আরেকটি ইসরায়েলের সামরিক প্রতিক্রিয়ার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়েছে। ইসরায়েল কমিশনকে সহযোগিতা করেনি। বরং অভিযোগ করেছে, তাদের বিরোধীদের প্রতি পক্ষপাতিত্ব রয়েছে প্রতিবেদনে। 

কমিশন বলেছে, ইসরায়েল তাদের কাজে বাধা দিয়েছে এবং তদন্তকারীদের ইসরায়েল ও অধিকৃত ফিলিস্তিনি উভয় অঞ্চলে প্রবেশ করতে বাধা দিয়েছে।

প্রতিবেদনে ডিসেম্বরের শেষ পর্যন্ত চলা সংঘাততের সময় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, উভয় পক্ষই নির্যাতনসহ যুদ্ধাপরাধ করেছে; যার মধ্যে হত্যা, বা ইচ্ছাকৃত হত্যা; ব্যক্তিগত মর্যাদার উপর আক্রোশ; এবং অমানবিক বা নিষ্ঠুর আচরণ অন্তর্ভূক্ত।

ইসরায়েল যুদ্ধের একটি পদ্ধতি হিসাবে দুর্ভিক্ষকে ব্যবহার করেছে, যা যুদ্ধাপরাধ। ইসরায়েল কেবল গাজাবাসীদের খাদ্য, পানি, আশ্রয় এবং ওষুধের মতো প্রয়োজনীয় সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়নি বরং ‘সেই প্রয়োজনীয়তা পূরণে যারা সরবরাহ করতে চেয়েছে তাদের বাধা দেওয়ার জন্য কাজ করেছে।’

এমএম//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি