ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

তহবিলের নামে নেয়া অর্থ ফেরত দেয়নি ড. ইউনূসের প্রতিষ্ঠান (ভিডিও)

স্বপন মির্জা, সিরাজগঞ্জ থেকে

প্রকাশিত : ১৩:৫৫, ৯ অক্টোবর ২০২৩

ড. ইউনূসের গ্রামীণ মৎস্য ও পশুসম্পদ ফাউন্ডেশনের নামে উঠেছে গুরুতর অভিযোগ।  সিরাজগঞ্জের নিমগাছি মৎস্য প্রকল্পে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দুই জেলার পুকুরপাড়ের বাসিন্দারা আয়ের অর্ধেক তো পায়ইনি; বরং বিভিন্ন তহবিলের নামে ২৫ বছর ধরে কেটে রাখা অর্থও ফেরত দেয়নি প্রতিষ্ঠানটি। 

মাছ চাষের অর্ধেক লভ্যাংশ পাননি গাঁয়ের সহজ-সরল মানুষেরা। বিভিন্ন তহবিলের নামে কেটে নেয়া হতো আয়ের অর্থ। সেটা এখনও ফেরত পাননি তারা। অডিট আসলে সুফলভোগীদের ভয় দেখিয়ে বলানো হতো মিথ্যা।

তারা জানান, গ্রুপ ফান্ডে ৭ শতাংশ করে প্রতিটা সদস্য থেকে কেটে রেখেছে তারা। যেটা আজ পর্যন্ত দেয়নি। কোনো অডিট আসলে তিন-চার টাকা বেশি বলতে বলেছে। দুধের দাম ১৫ টাকা হলে ১৮ টাকা বলতে হতো। লাভ সবই গ্রামীণ ব্যাংকের, আমাদের কোনো লাভ নেই। 

শুধু তাই নয়, অনুদানের গরু দিয়ে চড়া দাম নেয়া, গরু মরে গেলেও কিস্তি নেয়াসহ শোষণের কবলে পড়ে ঋণে জর্জরিত হয়ে নিঃস্ব হয়েছে অনেকেই।

ভুক্তভোগীরা জানান, ৩০ হাজার ২৫ হাজার দিয়ে গরু কিনে দিলো, সদস্যরা পালতে থাকলো। পরে কিস্তি সুদে-আসলে নিলো।
মরে যাওয়া গরুর দামও নিয়ে গেছে। এক বছর কিস্তি দেয়ার পর সেই গরু বিক্রি করে ২২ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হয়েছে।

এতকিছুর পরও ২৫ বছরের মেয়াদ শেষে আবারও ২০১০ সালে পুকুরগুলো ইজারা নেয়ার আবেদন করে গ্রামীণ মৎস্য ও পশুসম্পদ ফাউন্ডেশন। চাপ প্রয়োগ করা হলেও তাতে সাড়া দেয়নি সরকার।

সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস বলেন, “ড. ইউনূস একজন খ্যাতনামা ব্যক্তি, বহু ধরনের চাপ দিয়েছে এটা করানোর জন্য। আমি করিনি। ৭৮৬টি পুকুর আমরা কমিউনিটি গ্রুপ করে দেই, তাদের মাধ্যমে এখন আবাদ হচ্ছে। মাছের আবাদও ভালো হচ্ছে।”

সদস্যদের শতভাগ লভ্যাংশ দেয়ার ভিত্তিতে নিজেরাই প্রকল্পটি পরিচালনা করছে মৎস্য অধিদপ্তর। এতে লাভবান হচ্ছেন পুকুরপাড়ের বাসিন্দারা।

নিমগাছি সমাজভিত্তিক মৎস্য চাষ প্রকল্প অফিস প্রধান ড. হাফিজুর রহমান বলেন, “কার্যকরি কমিটি আছে ৭ সদস্যবিশিষ্ট। এই কমিটি অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে মাছ চাষ করে এটার লভ্যাংশটা সমভাবে বন্টন করে।”

ড. ইউনূসের প্রতিষ্ঠানের অধীনে প্রকল্পে মাছের উৎপাদন ছিল হেক্টর প্রতি বছরে আড়াই মেট্রিক টন। আর বর্তমানে লাভের শতভাগ সুফলভোগীদের দেয়ার পর উৎপাদন দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৫ টনেরও বেশি।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি